গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিদ্যুৎ না থাকায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে হলদিয়ার অনেকগুলি কারখানার উৎপাদন। শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার হাইটেনশন লাইন ঝড়ে ছিঁড়ে পড়ায় এবং টাওয়ার বেঁকে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে। আদানি, ইমামি, রুচি সহ একাধিক ভোজ্য তেল কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় উৎপাদন বন্ধ। আদানি কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের কারণে কারখানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিন জেনারেটর চালিয়ে অফিস খোলা হয়েছে। একই পরিস্থিতি হলদিয়ার মার্কাস অয়েল, রেণুকা সুগার সহ বিভিন্ন কারখানার। কবে নাগাদ উৎপাদন শুরু করতে পারবে, তা নিয়ে শিল্প সংস্থাগুলি উদ্বিগ্ন।
এদিকে বিদ্যুতের অভাবে হলদিয়া শহর ও লাগোয়া হলদিয়া, সুতাহাটা, মহিষাদল ব্লক এলাকায় পাম্প চালিয়ে পানীয় জল তোলার, মোবাইল, ল্যাপটপ চার্জ করার জন্য জেনারেটরের চাহিদা তুঙ্গে। হলদিয়ার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় এক একটি পাড়া ১৯-২০ হাজার টাকায় একমাসের জন্য জেনারেটর ভাড়া করছে বলে জানালেন স্থানীয় শিক্ষক যশরাজ ব্রহ্মচারী।
জেনারেটর দিয়ে পাম্প চালিয়ে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখার কাজ শুরু করেছে হলদিয়া পুরসভা। বিদ্যুতের অভাবে পুরসভার ওয়াটার এটিএম ও বিভিন্ন জলের কারখানা বন্ধ থাকায় শহরজড়ে পানীয় জলের সঙ্কট শুরু হয়েছে। ২০লিটারের জ্যারিকেনগুলি বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। হলদিয়া শহরের বাসিন্দারা বলেন, এই পরিস্থিতিতে পাড়ায় প্রতিদিন জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো দরকার। শহরের পাশাপাশি সুতাহাটা, মহিষাদল এলাকাতেও একই সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন। সুতাহাটার বিভিন্ন গ্রামে সজলধারার প্রকল্পগুলির পাম্প জেনারেটর দিয়ে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।
সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, জেনারেটর চালিয়ে সজলধারার মাধ্যমে আমরা জল পৌঁছে দিচ্ছি। তবে, ঝড়ের জন্য বিদ্যুৎ না থাকায় সুতাহাটার অনেকগুলি এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকায় শিশুদের টিকাকরণের ভ্যাকসিন ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। জেনারেটর চালিয়ে সেগুলি রক্ষা করতে হচ্ছে।
মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ব্লক এলাকায় সাড়ে ১০ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। বহু এলাকায় রাস্তায় গাছ পড়ে থাকায় এলাকাগুলি বিচ্ছিন্ন। ব্লকজুড়ে কয়েকশো বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছে। সারা ব্লক অন্ধকারে ডুবে রয়েছে।