বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লালবাগের আম চাষি বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, আর ২০-২৫দিন পর থেকেই আম পাকতে শুরু করত। হিমসাগর ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ৬০-৭০টাকা কেজি থাকে। সাদ্দুলা আমেরও দাম ভালো থাকে। পাকার আগেই ঝড়ে পড়ে যাওয়া আমগুলি জলের দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এক বস্তা আম ৫০টাকাতেও বিক্রি করেছি। লিচুতেও কালো দাগ ধরে গিয়েছে। এক হাজার লিচু ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতবছর এক হাজার লিচুর দাম ১২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এখন ঝরে যাওয়া লিচু ১০-১৫টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আরেক আম চাষি কালু মণ্ডল বলেন, অন্যান্য বছর এইসময় আম পেকে যায়। এবছর কিছুটা দেরিতে আম পাকবে। সেকারণে কিছু আম গাছে থেকে গিয়েছে। পাকতে শুরু করলে সব গাছ ফাঁকা হয়ে যেত।
প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোনের তাণ্ডবে মুর্শিদাবাদে আম এবং লিচুর পাশাপাশি ধান ও পাট চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জলঙ্গি, নবগ্রাম, খড়গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকার ধান জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ধান কেটে ঘরে তোলা চাষিদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। একইভাবে বহু পাট এবং তিল গাছও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার অর্থনীতি ধান, পাট, আম এবং লিচু চাষের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ঝড়ে সবকিছুই ক্ষতি হয়েছে। তারপরও গাছে যে পরিমাণ আম এখনও থেকে গিয়েছে সেগুলিরও ভালো দাম পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে চাষিরা সংশয়ে রয়েছেন।