কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে আটজন নবগ্রাম থানা এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া ডোমকলের দু’জন, শক্তিপুর থানা এলাকার একজন, ভরতপুর-২ ব্লকের একজন, সাগরদিঘি ব্লকের একজন এবং রানিতলার একজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁরা কয়েকদিন আগে ট্রাক ভাড়া করে গ্রামে ফিরেছিলেন। নবগ্রামের নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের খাজুরিয়া পঞ্চায়েত সদস্যা রৌশনারা বিবি বলেন, আমরা নিজেদের উদ্যোগে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি ফাঁকা বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করেছিলাম। অনেকের বাড়িতে আলাদাভাবে থাকার ব্যবস্থা নেই। সেকারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। খাজুরিয়া গ্রামের ফাঁকা বাড়িতে মহরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসা ২২জনকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে চারজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
নবগ্রাম ব্লকের গুড়োপলশা পঞ্চায়েতে উপপ্রধান সামসুল আরফিন বলেন, নতুন গ্রামের চার পরিযায়ী শ্রমিক ১৮মে মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন। তাঁদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল। পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর তাঁদের বহরমপুরে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকা সিল করা হয়েছে। সাগরদিঘির ফুলবাড়ি এলাকারও এক যুবক মুম্বই থেকে ফিরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর দাদা বলেন, মুম্বই থেকে ট্রাকে ভাইয়ের সঙ্গে আরও অনেকে ফিরেছিল। ১৭মে গ্রামে ফেরার পর স্বাস্থ্যকর্মীরা ওইদিন সকালেই তার লালারস সংগ্রহ করেন। ও বাড়িতে আলাদাভাবেই ছিল। এদিন রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ওকে বহরমপুরে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডোমকলের সারাংপুর এলাকার দুই যুবক গুজরাতের সুরাত থেকে ফিরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ভরতপুর-২ ব্লকের সরমস্তিপুর এবং রানিতলার জীবনপুর এলাকার মোট দু’জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেই এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শক্তিপুর থানা এলাকায় বৃহস্পতিবার একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিন ফের আরেকজনের পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর স্থানীয়রা আরও বেশি সচেতন হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, মহরাষ্ট্র এবং গুজরাতে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাই ওই দু’টি এলাকা থেকে যাঁরাই ফিরছেন তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এখনও অনেকেই নিয়ম না মেনে এলাকায় ভিড় জমাচ্ছেন। যে গ্রামগুলিতে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে সেখানে কিছুটা আতঙ্ক থাকছে। কিন্তু বাকি এলাকাগুলিতে লোকজনের বেপরোয়া মনোভাব কাটছে না। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে লালারস সংগ্রহ করার পর এখনও পর্যন্ত ৩০জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এছাড়া এই জেলার বাসিন্দা আরও দু’জন কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।