বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার, ... বিশদ
কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত সাহা বলেন, এই ওষুধের চাহিদা এখন খুবই বেশি। চাহিদা অনুযায়ী আমরা ওষুধের জোগান দিতে পারছি না। জেলা পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা ওষুধ চাওয়া হয়েছিল, আমরা এখনও তা দিতে পারিনি। ভিনজেলা থেকেও অনেকে এই ওষুধ চেয়ে আবেদন জানাচ্ছেন। আপাতত বাইরের জেলার আবেদন ফিরিয়ে দিচ্ছি। কারণ জেলার চাহিদা পূরণ করতেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের আউটডোর থেকেই প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ওষুধ বিলি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওষুধ বিলি করা হচ্ছে। প্রতিদিন চাহিদা বেড়েই চলেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথির পক্ষ থেকে এই ওষুধ সাধারণ মানুষকে দেওয়ার জন্য বলা হয়। সেন্ট্রাল কাউন্সিলের নির্দেশিকা আসার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওষুধ তৈরির উদ্যোগ নেয়। গত ১১মে হাসপাতালের আউটডোরে দু’টি কাউন্টার থেকে ওষুধ বিলি শুরু হয়। পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মীরা ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ বিলি করেছিলেন। এছাড়া ৯ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু বাড়িতে এই ওষুধ বিলি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়ে ১১হাজার প্যাকেট ওষুধ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তিন হাজার প্যাকেট ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ওষুধ এখনও সরবরাহ করতে পারেনি। মেদিনীপুর পুরসভার কর্মী ও সাফাইকর্মীদের জন্য ১০০০ প্যাকেট ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। মেদিনীপুর সদর ব্লক ও পঞ্চায়েতের কর্মীদের জন্য ৫০০ প্যাকেট ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। সালুয়া পুলিস ট্রেনিং স্কুলের জন্য ৮০০ প্যাকেট ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। জেলা স্কুলদপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের কর্মীদের জন্য ওষুধ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। এখনও সেই ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। ইতিমধ্যেই শহরের পালবাড়ি এলাকায় একটি ক্লাবের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার প্যাকেট ওষুধ বিলি করা হয়েছে। মহাতাবপুর এলাকাতেও একটি সংগঠনের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে এই ওষুধ বিলি করা হয়েছে। নজরগঞ্জ এলাকায় এক হাজার জনকে ওষুধ বিলি করার কথা রয়েছে। জেলার অন্যান্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই ওষুধ চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন আসছে। যদিও জেলার অন্যান্য ব্লকে এখন এই ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি।