কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার গেদে উত্তরপাড়া গ্রামের আদিত্যর বাবা অশোক মহলদার স্থানীয় একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। করোনার জন্য গরিব মানুষের বিপদে পড়ার কথা আদিত্য জানতে পারার পর থেকেই সেও কিছু সাহায্য করতে উৎসাহী হয়। সে ঠিক করে, ভাঁড়ে জমানো সব টাকা সে দিয়ে দেবে। বৃহস্পতিবার জেঠুর সাহায্য নিয়েই টাকা জমা দেয় সে। আদিত্যর জেঠু দীনবন্ধু মহলদার বলেন, বৃহস্পতিবার আমি ওর থেকে টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের নামে চেক কেটে ব্যাঙ্কে দিয়ে এসেছি।
অন্যদিকে, স্কলারশিপ বাবদ পাওয়া পাঁচ হাজার টাকায় চাল, ডাল, আলু কিনে ৫০টি পরিবারের হাতে তুলে দিল মুরুটিয়া থানার বালিয়াডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাকিবুল ইসলাম। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য শুক্রবার তেহট্ট-২ ব্লকের বিডিও শুভ সিংহরায়ের হাতে ৫০হাজার টাকার চেক তুলে দেন বাউর এলাকার ব্যবসায়ী মন্টু মণ্ডল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেহট্ট এলাকার কোয়ারন্টাইনে থাকা মানুষজনের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দেয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপস্থিত ছিলেন তেহট্টের মহকুমা শাসক অনীশ দাশগুপ্ত, মহকুমা হাসপাতালের সুপার সৈকত বসু, তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক সহ অন্যান্যরা। এলাকার গরিব মানুষদের রান্না করা খাবার দিচ্ছে তেহট্ট থানার পুলিস।
অন্যদিকে, করিমপুর বিধানসভা এলাকায় লকডাউনের মধ্যে ১৭টি বাড়ি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় ওই সমস্ত পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু তেল সামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যও করেন। অন্যদিকে, তেহট্ট থানার নাজিরপুর বাগাডোবা এলাকায় মায়ের শ্রাদ্ধের দিন এলাকার গরিব মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন ছেলেরা। লকডাউনের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তাঁর ছেলেরা শুধু কাজ করেছেন। কোনও লোকজনকে নিমন্ত্রণ করেননি। মৃত সাবিত্রী পালের ছোট ছেলে বিপ্লব বলেন, মায়ের শেষ কাজে কাউকে নিমন্ত্রণ করতে পারিনি। এলাকার কিছু দিনমজুর পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।