কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঁচটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতাল, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল, পাঁশকুড়া, নন্দীগ্রাম ও এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৩০টি করে বেড নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছিল। ওইসব ওয়ার্ডে উপসর্গ থাকা অনেকেই ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু, এবার থেকে উপসর্গ থাকা কাউকে সেখানে ভর্তি রাখা হবে না। পরিবর্তে চণ্ডীপুরে ১০০বেডের একটি নার্সিংহোমকে সমগ্র জেলার জন্য আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে এই মর্মে নির্দেশিকাও জেলায় এসেছে। করোনা উপরসর্গ থাকা লোকজনের কাছ থেকে সাধারণ রোগী, চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের দূরে রাখতেই এই উদ্যোগ। আগেই মেচগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়েছে। সেখানে ১০জন করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি হয়েছেন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার সব করোনা পজিটিভ রোগীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১এপ্রিল তমলুক থানার বল্লুক গ্রামের এক বৃদ্ধ পেশায় পান ব্যবসায়ী প্রথম করোনা আক্রান্ত বলে নাইসেড থেকে রিপোর্ট আসে। ওই বৃদ্ধের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজনের পরিবার একসঙ্গে থাকে। বৃদ্ধ আক্রান্ত হতেই পরিবারের প্রত্যেককে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধাপে ধাপে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে। আক্রান্ত পান ব্যবসায়ীর ছেলে, মেজ ভাইয়ের স্ত্রী ও তাঁর ছেলে এবং সেজ ভাইয়ের ছেলে করোনা আক্রান্ত হন। একসঙ্গে পরিবারের চারজন আক্রান্ত হওয়ায় জেলাজুড়ে হইচই পড়ে যায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আক্রান্ত পান ব্যবসায়ীর চিকিৎসা করা স্থানীয় শাবললাড়া গ্রামের কোয়াক ডাক্তার এবং তাঁর বউদি করোনায় আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার রাতে পান ব্যবসায়ীর মেজ ভাইও করোনা আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসে। একই পরিবারের ছ’জন সদস্যের আক্রান্ত হওয়ার খবর ঘিরে গোটা বল্লুক থমথমে হয়ে গিয়েছে।
বল্লুকের আক্রান্ত প্রৌঢ়কে গত বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। তার আগের দিন ওই প্রৌঢ় ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওই পরিবারের একাধিক সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তমলুক জেলা হাসপাতালে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসা করে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। ওই প্রৌঢ় আবার হৃদরোগে আক্রান্ত।