গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দৌলতাবাদের লিচু চাষি মহিরুল মণ্ডল বলেন, আমাদের জেলায় মূলত গুটি এবং বোম্বাই দু’ধরনের লিচু চাষ হয়। বোম্বাই লিচু ১৬-১৭মে থেকে উঠতে শুরু করে। গুটি আরও আগে পাকতে শুরু করে। লিচু বেশিদিনের ফল নয়। নির্দিষ্ট কিছু দিন তা থাকে। ওই সময়ের মধ্যে তা বাজারে পাঠাতে না পারলে লোকসান হয়ে যাবে। এবার লিচুর উৎপাদন ভালো হবে বলেই আশা করছি। আম চাষি অমিত সাহা বলেন, আম গাছের বাগান সারা বছর পরিচর্যা করতে হয়। তা না হলে ভালো ফল পাওয়া যায় না। গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তারজন্য ভালো খরচ হয়। আমের দাম না পাওয়া গেলে চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। বাইরের রাজ্যে ফল পাঠাতে না পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। উদ্যানপালন দপ্তরের জেলা আধিকারিক প্রভাস মণ্ডল বলেন, এবছর অনেক আম গাছের দেরিতে মুকুল এসেছে। গুটি একটু দেরিতেই এসেছে। লিচুর গুটি ঠিক সময়ে এসেছে। এখন চাষিরা বাগান পরিচর্যা করতে ব্যস্ত আছেন। আগামী দিনে কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সুস্বাদু আমের কদর সারা রাজ্যেই রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির আম জেলায় চাষ হয়। চাষিরা বলেন, আম ও লিচু চাষ করেই অনেকেই সংসার চালান। প্রত্যেক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার চাষি এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। লালবাগের চাষি বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, এবছর অনেক আম গাছের ফলন কম হবে বলে মনে হচ্ছে। তারপরে দাম না পাওয়া গেলে সমস্যা আরও বাড়বে।