পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, লালগড়ে নার্সিং স্কুলের দু’টি বাস ও ঝাড়গ্রামে নার্সিং স্কুলের একটি বাস জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে রয়েছে। একটি বাসে ৩০টি সিট রয়েছে। বাকি দু’টি বাসে ৪৭টি করে মোট ৯৪টি আসন রয়েছে। এখন নার্সিং স্কুল বন্ধ। যার ফলে বাসগুলিও পড়ে ছিল। লকডাউনে স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই বাসগুলি চালানো শুরু করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এর জন্য তেল খরচের ব্যয় বহন করবে জেলা প্রশাসন।
লকডাউনের জেরে ঝাড়গ্রাম জেলায় সমস্ত যানবাহন বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ঝাড়গ্রাম থেকে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী বাসে চেপে মোহনপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল, গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যাতায়াত করেন। সেজন্য শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে সকাল ৮টায় একটি বাস ছেড়ে কলেজ মোড়, মোহনপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, রান্টুয়া, তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল, গোপীবল্লভপুর বাসস্ট্যান্ড, গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ছাতিনাশোল হয়ে সকাল ১০টায় নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছচ্ছে। আবার নয়াগ্রাম থেকে বিকেল ৩টেয় ছেড়ে বাসটি ৫টায় ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ে পৌঁছচ্ছে। নয়াগ্রাম রুটে দু’টি বাস চলাচল শুরু করেছে। সেই বাসে চেপে স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতায়াতও করছেন।
ঝাড়গ্রাম শহরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নার্সদের জন্য ৩০ সিটের বাসটিও চালানো শুরু হয়েছে। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা এই তিনটি সময়ে বাস চলছে। শহরের বাসটি সাবিত্রী মন্দির, বংশীর মোড়, বামদা, সেবায়তন হয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আসছে। তবে তাতে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তেমন উঠছেন না।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিএমওএইচরা যেভাবে বলেছেন, সেইমতো রুট ঠিক করা হয়েছে। এই বাসে এএনএম বা যে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী চেপে যাতায়াত করতে পারবেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি অনুযায়ী বাস চালানো হচ্ছে।
তবে শুধু বাস নয়, লকডাউনে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা মাথায় রেখে শহরে একটি গেস্ট হাউসও ঠিক করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর ও জেলা প্রাশসন। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন একটি গেস্ট হাউসে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৬জন রয়েছেন। গেস্টহাউসের খরচ ব্যয় করবে জেলা প্রশাসন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি লকডাউনের সময় আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। যাতায়াতের সুবিধার জন্য তিনটি বাস চালানো হচ্ছে। তাতে অনেকে যাতায়াতও করছেন।