কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, এদিন দুপুরে স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজার পরিদর্শন করেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, সহ সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ ও ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ষোলোআনা কমিটির সদস্যরাও সঙ্গে ছিলেন। ষোলোআনা কমিটি, সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্ব সবাই মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের আধিকারিকদের কাছে বড়জোড়ায় অবিলম্বে দমকল কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান।
বাজার পরিদর্শনের পর মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, লকডাউন পরিস্থিতির মাঝে ব্যবসায়ীরা অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই অবস্থায় কীভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা নিয়ে আমরা প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করছি। বিষয়টি আমরা রাজ্য স্তরেও জানিয়েছি।
ষোলোআনা বাজার কমিটির ম্যানেজার প্রণব মণ্ডল বলেন, আচমকা কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। তবে এই অবস্থায় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা শাসক দলের নেতৃত্বের পাশাপাশি ব্লক, জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি। শুধু তাই নয়, ষোলোআনার তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সামান্য কিছু সাহায্য করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করছি।
ষোলোআনা কমিটির অন্যতম সদস্য তথা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ ও ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের অনুমান, আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। সেই কথা আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বড়জোড়া চৌমাথা লাগোয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপুরগামী রাস্তার দিকের দু’সার দোকান ছাড়া সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি বইয়ের দোকান ও স্টেশনারি দোকানের ধ্বংসাবশেষ থেকে তখনও ধোঁয়া বেরচ্ছে। তারই মাঝে যদি কিছু উদ্ধার করা যায় তার জন্য উঁকিঝুঁকি মারছেন ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
স্বামীর বইয়ের দোকানের সামনে বসে ছিলেন ছিলেন টিনা মণ্ডল। আগুনে তাঁদের লক্ষাধিক টাকার বইপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। টিনাদেবী বলেন, দোকান চালিয়ে স্বামীর রোজগারেই সংসার চলত। আয়ের সেই সম্বলটুকুও পুড়ে ছাই হয়ে গেল। এখন কীভাবে চলবে কিছুই বুঝতে পারছি না।
শুধু টিনাদেবী নয়, বড়জোড়া বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদর মুখে একই কথা। কাপড়ের ব্যবসায়ী পাপাই বিদ বা মনোহারি দোকানের মালিক লক্ষ্মীকান্ত দাস সহ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, কীভাবে চলবে, জানি না।
এদিন সকালে দোকানের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকেও যদি কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয় সেই আশায় হাতড়াচ্ছিলেন সুরজ কুমার নামে এক জামাকাপড়ের ব্যবসায়ী। সুরজবাবু বলেন, চৈত্র সেল ও গাজনের জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাল মঙ্গলবারই নিয়ে এসেছি। সব মিলিয়ে প্রায় লাখ চারেক টাকার জিনিস ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এখন কীভাবে মহাজনদের টাকা মেটাব, আর কীভাবে সংসার চালাব, কিছুই বুঝতে পারছি না।