পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বড়জোড়া গ্রাম ষোলোআনা কমিটির সহ সম্পাদক অলক মুখোপাধ্যায় বলেন, আগুনে প্রায় ৩৫০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা। কীভাবে এই আগুন লাগল তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। প্রশাসন ও দমকল বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়জোড়া চৌমাথার কাছে প্রায় ২০ বিঘা জায়গা রয়েছে। গ্রাম ষোলোআনা কমিটির ওই জায়গায় কাপড়, জুতো, ব্যাগ, মুদিখানা, স্টেশনারি, ফুল, ফল সহ ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার দোকান রয়েছে। ভাড়ার বিনিময়ে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করেন। যা বড়জোড়া বাজার হিসেবে এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শী জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কের বাঁ দিকের কোণের কাছে প্রথমে আগুন দেখা যায়। তারপর দ্রুত তা দু’দিকেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়টি ষোলোআনা কমিটি, পুলিস ও দুর্গাপুর দমকলকেন্দ্রে জানাই। কিন্তু, দমকলকে জানানোর প্রায় ৪৫মিনিট পর প্রথমে দুর্গাপুর থেকে একটি ও মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে একটি ইঞ্জিন আসে। তার আগেই বাজারের অর্ধেকেরও বেশি অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বাজারে থাকা নার্সারির মালিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খবর পেয়েই ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। এসে দেখি, আমার দোকান দাউদাউ করে জ্বলছে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। ২০-২৫ ফুট উপর পর্যন্ত আগুনের গোলা কুণ্ডলি পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছে। এলাকার মানুষ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে পাইপে করে জল নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কেউ কেউ নিজের দোকান থেকে যদি কিছু জিনিস বাঁচানো যায় সেই চেষ্টা চালান। আমার দোকানের চারা, প্লাস্টিকের ফুল, সার, বীজ মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
কাপড়ের ব্যবসায়ী জয়দীপ দে বলেন, চৈত্র সেলের জন্য মাল তুলে এনেছিলাম। দোকানে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার জিনিস ছিল। ভয়াবহ আগুনে সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বাঁকুড়ার অন্যতম শিল্পাঞ্চল বড়জোড়া। অথচ এই জায়গায় কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। এখানে দমকল কেন্দ্র থাকলে আমাদের এই বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না।
আগুনে জুতোর দোকান পুড়ে গিয়েছে কৃষ্ণদীপ দে নামে এক ব্যবসায়ীর। তিনি বলেন, পলিথিন, বাঁশ, দরমা দিয়ে অস্থায়ী দোকান তৈরির সময়েই আমি ষোলোআনা কমিটির কাছে আপত্তি জানিয়েছিলাম। এভাবে অস্থায়ী দোকান করলে বিপদ হতে পারে। তখন আমার কথা কেউ শোনেনি। তখন যদি আমার কথা শোনা হতো তাহলে হয়তো কয়েকশো ব্যবসায়ীকে এই ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না।