গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে রেজিনগর থানা এলাকা থেকেও কয়েক বস্তা চাল, গম উদ্ধার হয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, রেশনের খাদ্যসামগ্রী একটি গোডাউনে পাচার করার উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরেই থানায় অভিযোগ করা হয়। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের স্ক্যানারে রয়েছে। তারাও চাল বা গম মজুত করে রেখেছে। মূলত বিভিন্ন রেশন ডিলারের কাছ থেকেই তারা খাদ্যসামগ্রী কিনে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে। অনেক আগে থেকেই রেশনের সামগ্রী পাচারের সঙ্গে কয়েকজন যুক্ত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো মুর্শিদাবাদেও রেশনে চাল, গম দেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে কম সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। যাদের রেশন কার্ড নেই তাদের বাড়িতে প্রশাসন কুপন পৌঁছে দিচ্ছে। ১০এপ্রিলের পর থেকে তাদেরও রেশন দেওয়ার কথা রয়েছে। জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, রেশনের সামগ্রী নিয়ে যাতে কালোবাজারি না হয় তা দেখার জন্য প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালগোলাতে বিভিন্ন রেশন ডিলারদের কাছে থেকে চাল এবং গম নিয়ে এসে এক ব্যক্তি গোডাউনে মজুত করেছিল। সেগুলি খোলাবাজারে বিক্রির পরিকল্পনা তারা করেছিল। বিষয়টি সামনে আসার পরেই ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রেজিনগরেও দু’টি এফআইআর হয়েছে। কেউ কেউ রেশন ডিলারদের কাছে থেকে চাল নিয়ে তা বিলি করছে। এটাও করা যাবে না। রেশনের চাল দোকান থেকেই গরিবদের দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাহানাজ বেগম বলেন, রেশনের চাল বা গম নিয়ে কোনওভাবেই কালোবাজারি করা যাবে না। আমরাও বিষয়টির দিকেও নজর রাখছি। ২০০৭সালে রেশন কেলেঙ্কারির ঘটনা আমরা কেউ ভুলে যাইনি। তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য প্রশাসন প্রথম থেকেই সজাগ রয়েছে। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে আমাদেরকেও জানাতে পারেন।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন বাজারেও আধিকারিকরা আচমকা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাঝে কিছু দিন ওষুধ দোকানগুলিতে অভিযান চালানো হয়েছিল। ঠিক একইভাবে অন্যান্য দোকানগুলিতেও প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে। নওদার ঘটনায় পুলিসের নজরে কয়েকজন রেশন ডিলারও রয়েছে। রেশনের সামগ্রী বিক্রি করে ডিলারও অন্যায় করেছে। সেকারণে সব কিছু খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয়দের কাছে থেকে খবর পেয়েই পুলিস ওই ব্যবসায়ীরা গোডাউনে অভিযানে নামে। ধৃত ব্যক্তি বিভিন্ন বাজারে চাল, গম সরবরাহের ব্যবসা করে। পুলিস সুপার বলেন, এই চক্রে আরও যারা যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সব জায়গাতেই আমাদের নজর রয়েছে। কালোবাজারি আটকাতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।