কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কলেজের অধ্যক্ষ অশোককুমার দাস বলেন, গত ১৪ মার্চ থেকে সব ক্লাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কীভাবে ক্লাস করা যায় তা নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় পড়েছিলাম। আমরা প্রথমে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের স্টাডি মেটেরিয়াল তৈরি করে জমা দিতে বলেছিলাম। সেটা দেওয়ার পর আমরা তা ওয়েবসাইটে দিয়েছিলাম। তা দেখেই পড়াশোনা করত ছাত্রীরা। কিন্তু আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নিতে শুরু করেছি। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছি। অনার্সের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। ওয়েবসাইটে গেলে ছাত্রছাত্রীরা রুটিন দেখতে পাচ্ছে। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরা এতে অনেকটাই উপকৃত এবং তারা অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখতে পারছে। অনলাইনে ক্লাস আপাতত এভাবেই চলবে। সোমবার থেকে অনার্স ক্লাস শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার পাশকোর্সের ক্লাসও শুরু হয়। কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ পোদ্দার বলেন, প্রথমে আমরা শুধু স্টাডি মেটেরিয়াল আপলোড করেই এটা শুরু করেছিলাম। ছাত্রদের বলা হয় ওয়েবসাইট লক্ষ রাখতে। পরে অধ্যক্ষের উদ্যোগেই অনলাইনে ক্লাস শুরু হল। ওয়েবসাইটে অনলাইনে রুটিন তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলেজে মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৩৯২। চারটি বিভাগে অনার্স আছে। কলেজের এক ছাত্রী রিমা ভদ্র বলেন, আমাদের অনলাইন ক্লাস করতে ভালো লাগছে। তবে নেটওয়ার্ক সমস্যা হচ্ছে একটু। এরকম অভিজ্ঞতা আগে হয়নি, ভালো লাগছে।
শুধু তাই নয়, শরীর চর্চাও হচ্ছে অনলাইনে। কৃষ্ণনগরের একটি জিমের প্রশিক্ষক শুভজিৎ ঘোষ বলেন, করোনার জেরে জিম বন্ধ। কিন্তু এতদিন শরীর চর্চা যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছি। হঠাৎ করে এতদিন সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শরীরে বা আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সেজন্য ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।