রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণের জেরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুরোধে দেশের বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক তিন মাস ঋণের ইএমআই না নেওয়ার প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য চারচাকা গাড়ি কেনা কান্দি শহরের বহু যুবক কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। অনেকের মোবাইলে আগামী তিনমাস ঋণের কিস্তির টাকা নেওয়া বন্ধ থাকবে বলে মেসেজও এসেছে। কিন্তু যাঁরা ফাইনান্স কোম্পানিগুলির মাধ্যমে গাড়ি কিনেছেন, তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এলাকার গাড়ি মালিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কগুলি ইএমআই না নিলেও ফাইনান্স কোম্পানিগুলি কোনও ছাড় দিচ্ছে না। অনেকের চেক বাউন্স করেছে। গাড়ি মালিক শোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটি গাড়ি ফাইনান্সের মাধ্যমে নিয়েছি। করোনা আতঙ্কের জেরে গাড়ি একেবারে বসে রয়েছে। এই মাসে ফাইনান্স কোম্পানির কিস্তি দিতে পারিনি। চেক বাউন্স করেছে। ফলে কোম্পানির কাছে কয়েক হাজার টাকা সুদ গুনতে হবে। গাড়ি মালিক রাজকুমার দাস বলেন, মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানিতে কেউ কিস্তি না দিলে কোম্পানির কাছে আবেদন জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে উচ্চ হারে সুদ দিতে হবে। শহরের অপর গাড়ি ব্যবসায়ী গোবিন্দ সাহা ও সৌমেন চক্রবর্তী বলেন, করোনা আতঙ্ক ও লকডাউনের জেরে গ্যারেজ থেকে প্রায় ২০দিন ধরে গাড়ি বের করা যায়নি। কোনও রোজগার নেই। এখন সংসারের খরচ জোগাড় করতে পারছি না। কিস্তির টাকা কীভাবে দেব জানি না। কয়েকজন বাধ্য হয়ে আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে অল্প সুদে টাকা ধার করে গাড়ির কিস্তি মেটাতে বাধ্য হচ্ছে। তবে এটাও বেশিদিন চলবে বলে মনে হয় না। কারণ এইসময় কেউ টাকা ধার দিতেও চাইছে না।