পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অকারণে হেলমেট ছাড়াই বাইক নিয়ে বেরিয়ে বেআইনিভাবে ঘোরাঘুরি, লকডাউন না মানার প্রবণতা গত কয়েক দিন ধরে বাড়ছিল রামপুরহাটে। প্রথম দিকে পুলিস লাঠিপেটা থেকে শুরু করে নানা দাওয়াই বেছেছিল। তাতে লোকের মনে ভয় ঢুকলেও পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। তাই এবার অকারণে রাস্তায় দেখলে ধরপাকড়ের আইনি পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তাতে কাজ হবে বলে মনে করছেন পুলিস প্রশাসনের কর্তারা।
সেইমতো মঙ্গলবার থেকে আলাদা তৎপরতা দেখা যায় পুলিস প্রশাসনের। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পরিবহণ কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে চেকিং করেন খোদ মহকুমা শাসক শ্বেতা আগরওয়াল। তিনি লক্ষ্য করেন, হু হু করে বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু যুবক। এলাকার পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় ছিল না, লকডাউন চলছে। টোটো, অটোও চলছে দেদার। কোনও বাইকে দু’জন, কোনওটায় আবার তিনজন। কারও মাথায় হেলমেট নেই। তাঁদের পথ আটকে কেন বেরিয়েছেন মহকুমা শাসক জিজ্ঞাসা করতেই, কেউ আট বছরের পুরনো প্রেসক্রিপশন দেখান, কেউ আবার হাসপাতালে ভর্তি থাকা আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছি বলেন। অনেকে আবার বলেন, মাস্ক, গ্লাভস রয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। আসলে এদের অনেকেই স্রেফ আড্ডা দিতে বাইরে বেরিয়েছেন। মারণ ভাইরাস সম্পর্কে বার বার মানুষকে সচেতন করা সত্ত্বেও নানা অজুহাত দেখিয়ে বাইরে বেরনো মানুষের বিচিত্র সব অজুহাত শুনে বেজায় চটে যান মহকুমা শাসক। সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে তিনি এমন প্রায় ২০টির বেশি বাইক ও টোটোর চাবি খুলে পরিহবণ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। পরে অবশ্য বিকেলের দিকে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রামপুরহাট এআরটিও দেবাশিস ঘোষ বলেন, লকডাউন উপেক্ষা করে অকারণে হেলমেট ছাড়াই রাস্তায় বেরনোর তালিকায় স্কুলের শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পড়ুয়া সহ বিভিন্ন পেশায় যুক্ত মানুষ রয়েছেন। হেলমেট না পরার জন্য বিচিত্র সব অজুহাত ও যুক্তি শোনাচ্ছে। মানুষকে বুঝতে হবে, প্রশাসন যা পদক্ষেপ নিয়েছে তা জনগণেরই স্বার্থে।
মহকুমা শাসক বলেন, লকডাউন উপেক্ষা করে বেআইনিভাবে হেলমেট ছাড়াই বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি, যানবাহন চালানো হলে এভাবেই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মহকুমা শাসকের এই পদক্ষেপে সচেতন মানুষজন আশার আলো দেখছেন।