বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কের পাশে ভবানীপুর গ্রামে ওই প্রৌঢ়ার বাড়ি। স্বামী অনেক আগেই পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। বাড়িতে ছেলে খুশিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন। কয়েকবছর আগে খুশিবুরের বিয়েও হয়। কিন্তু সাংসারিক অশান্তির কারণে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মঙ্গলবার ফের এলাকারই হাটপাড়া গ্রামে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। সেইমতো খুশিবুর শ্বশুরবাড়িতে অষ্টমঙ্গলা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সোমবার সকালে খুশিবুর বারবার মাকে মোবাইলে কল করে না পাওয়ায় বাড়ি ফিরে প্রতিবেশীদের ভিড় দেখতে পান। বাড়ির ভিতরে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। দুষ্কৃতীরা ওই মহিলাকে শরীরের কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরেছে। মহিলার গলায় কাপড় বেঁধে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল। এরপর কান্দি থানার পুলিস পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে।
এদিকে ওই ঘটনা সামনে আসতেই লকডাউন ভেঙে এলাকার বাসিন্দারা ভিড় জমান। পরে পুলিস তড়িঘড়ি দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতার ছেলে বলেন, কী কারণে মাকে কারা খুন করল তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে কয়েকবছর আগে বাড়ির পাশে একটি রাস্তা তৈরির সময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। প্রথম বিয়ে ছাড়াছাড়ি হওয়ার সময় আমরা পণের টাকা মিটিয়ে দিয়েছি। তবুও কেন এই খুন বোঝা যাচ্ছে না। আমরা চাই, পুলিস ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।
এদিকে ওই প্রৌঢ়াকে খুন করার সময় তাঁর গলার ও কানের গয়না দুষ্কৃতীরা লুট করে। স্থানীয় বাসিন্দা নেকবস আলি বলেন, খুনের মোটিভ আমরা কেউ বুঝতে পারছি না। ওই মহিলা সচরাচর কারও সঙ্গে ঝামেলাও করতেন না। লকডাউনের সময় উনি বাড়ি থেকে বেরও হননি।