পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরনোই ভালো বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, বীরভূমের মানুষ অসচেতনভাবেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ যথারীতি আড্ডাও জমাচ্ছেন। অনেকেই আবার বাড়িতে বসে কী করবেন কিছু ভেবে পাচ্ছেন না। তারই মধ্যে অনেকে মগ্ন আছেন সাহিত্য, শিল্পে। অনেকেই বাড়িতে বসেই গান রেকর্ড করছেন। কবিতা লিখছেন। ছবি আঁকছেন। আবার করোনা সচেতনতায় বার্তাও দিচ্ছেন। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে বাসিন্দারা তা শেয়ার করছেন। সেইসব সৃষ্টিশীল কাজের প্রশংসাও করছেন অনেকে। সেইসব মানুষের কাজকে আরও বহু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবার আসরে নামছে বীরভূম জেলা পুলিস।
স্থানীয়দের একাংশের মতে, লকডাউন সফল করতে প্রতিদিন রাস্তায় অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুলিস। রাস্তায় গান গেয়েও সচেতন করছেন আধিকারিকরা। তা সত্ত্বেও অনেকে বাইরে বেরচ্ছেন। তাই সবসময় লাঠির ভয় না দেখিয়ে বরং মানুষের মন জয় করেই লকডাউনে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জিততে চাইছে পুলিস।
বীরভূম জেলা পুলিসের নিজস্ব একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। সেই পেজে পুলিস নিজেদের কাজকর্ম সাধারণ মানুষকে জানাতে প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু এবার সাধারণ মানুষের কথাও পুলিস অন্যের কাছে তুলে ধরবে।
পুলিস সুপার বলেন, জেলা পুলিসের ফেসবুক পেজে একাধিক সচেতনতামূলক ভিডিও, ছবি লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেছেন। তা হাজার হাজার শেয়ারও হয়েছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের এই পেজ বর্তমানে অন্যতম আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এতে আমরাও উৎসাহিত। লকডাউনের পরিস্থিতিতে অনেকেই আমাদের কাছে তাঁদের চিন্তা-ভাবনা পাঠিয়েছেন। তাঁদের সেই ভাবনাকে প্রেরণা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকে বীরভূম জেলা পুলিসের পেজের ইনবক্সে মেসেজ করে পাঠাতে পারেন। অথবা তাঁদের দেওয়া ৮৩৯১৮৮৮২৫৭ এই নম্বরে হোয়াটস অ্যাপও করতে পারবেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁদের সৃষ্টিকাজ পাঠাতে শুরু করেছেন। সেইসব নমুনা বাছাইয়ের দায়িত্বে রয়েছেন ডিএসপি(ডিঅ্যান্ডটি) অভিষেক মণ্ডল। সৃজনকাজ ফেসবুক পেজে আপলোড যেমন হবে, তেমনি সৃষ্টিকর্তাকে বিশেষ প্রশংসাপত্র ও স্মারক দিয়ে সম্মানও জানাবে পুলিস। এমন ঘোষণায় জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতাও।