বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রাহকদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো বহু গ্রাহক রেশনের চাল ও গম পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, যাঁদের হাতে কার্ড নেই কুপন দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও তাঁরা তা পাননি। কার্ড না থাকায় স্থানীয় ডিলাররা তাঁদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তাই বহু গ্রাহক রেশন দ্রব্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অভিযোগ জানানোর জন্য সোমবার সকাল থেকে খাদ্যদপ্তরের সামনে লম্বা লাইন পড়ে। কিন্তু, দপ্তরের আধিকারিক দেরিতে আসায় সেখানে তুমুল হই হট্টগোল শুরু হয়। গ্রাহকরা শেষমেশ ধৈর্য হারিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সমাধানের জন্য পরে তাঁরা বিডিও অফিসে গিয়ে ধর্না দেন। সেখানেও একই অভিযোগ তুলে তাঁরা একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখান।
বিক্ষোভকারী শেখ শওকত আলি বলেন, আমি গরিব মানুষ। বাইরে কাজ করে খাই। এখন কাজকর্ম বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী বিনামূল্যে রেশনে চাল ও গম দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু, ডিলারের কাছে গেলে ফেরানো হচ্ছে। তাই এদিন খাদ্য দপ্তরের অফিসে এসেছি। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। বিডিওর কাছে গেলেও তিনি কথা বলতে চাইছেন না। এই অবস্থায় মহা সমস্যায় পড়েছি। ছেলেপুলে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরকেএসওয়াই-১ ও আরকেএসওয়াই-২ বিভাগে নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করার পরেও অনেকেই কার্ড হাতে পাননি। বাঁকুড়া জেলার এরকম প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার ৫৫২জনকে খাদ্য কুপন বিলি করার কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্য খাদ্যদপ্তর থেকে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই জেলায় বিশেষ এই কুপন বিলির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। সেইমতো দপ্তরের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা পৌঁছনোর পর ইতিমধ্যেই জেলায় কুপন ছাপানো ও কীভাবে তা বিলি করা হবে, তা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনার কাজ শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া শহর এলাকায় এই কুপন বিলি শুরু করেছে প্রশাসন। জেলার বাকি ব্লক ও পুরসভাগুলিতেও খুব শীঘ্রই কুপন বিলি শুরু হবে।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, খাদ্যদপ্তরের নির্দেশ পাওয়ার পরেই আমরা বিডিওদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুড কুপন বিলির কথা বলেছি। সেইমতো জেলায় প্রস্তুতির কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য খাদ্যদপ্তরের নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই খাদ্যদপ্তর বিডিওর মাধ্যমে প্রতিটি ব্লক এলাকায় থাকা মানুষের তালিকা তৈরি করেছেন। সেইমতো কুপন ছাপানোর প্রক্রিয়া চলছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে ছাপানো কুপন ব্লক প্রশাসন থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার, অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ওই কুপন স্থানীয় রেশন ডিলারের কাছে দিয়ে গ্রাহকরা নিজেদের স্কেল বা শ্রেণী অনুযায়ী বরাদ্দ পণ্য পাবেন।