কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসির আদরাহাটি আদিবাসী গার্লস হস্টেলে বাইরে থেকে ফেরা শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে ওই যুবককে নিয়ে মোট ১৮ জন শ্রমিক রয়েছেন। ওই যুবক পূর্ব মেদিনীপুরে কাজ করতেন। তিনি দীঘার উৎসবে গিয়ে কয়েকটি ‘গাছ বোম’ কিনেছিলেন। সেগুলির আওয়াজ সাধারণ শব্দবাজির চেয়ে বহুগুণ বেশি। একটি গাছ বোম তাঁর কাছে থেকে গিয়েছিল। লকডাউনের সময় পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ফেরার সময় ব্যাগে করে সেটিও নিয়ে এসেছিলেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাঁর ওই ব্যাগটিও ছিল। কেউ জানতেন না, তাঁর ব্যাগে গাছ বোম রাখা আছে।
রবিবার রাত ৯টা নাগাদ তিনি ব্যাগ থেকে সেটি বের করেন। অন্যান্যরাও তা দেখে উচ্ছ্বসিত হন। ওই যুবক ঠিক করেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ভিতরেই ফাটাবেন। কারণ, বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই। বাইরে সিভিক ভলান্টিয়ার প্রহরায় রয়েছে। ভিতরে ওই বাজি ফাটাতে গেলে তাঁর হাতেই ফেটে যায়। আওয়াজে আশাপাশের লোকজনও দৌড়ে আসেন। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে যায়। তারপর ওই যুবককে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ওই যুবক অবশ্য পুলিসের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী দীপ জ্বালানোর আহ্বানকে সফল করার জন্য রবিবার রাত ৯টা নাগাদ জেলার একাধিক জায়গায় কিছু লোক জোরপূর্ব্বক ট্রান্সফর্মার নামিয়ে গোটা এলাকাকে অন্ধকার করে দেয়। ৯ মিনিট হওয়ার পর তারা ট্রান্সফর্মা তোলে। বর্ধমান শহরেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও মন্তেশ্বর, মেমারি, কালনা, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম সহ একাধিক জায়গা থেকে পুলিসের কাছে এই ধরনের অভিযোগ এসেছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ট্রান্সফর্মার নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রবিবার রাতেই জেলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটিয়ে এমন আরও অনেকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।