বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে লকডাউন ঘোষণার পরও কান্দি মহকুমার প্রতিটি এলাকায় লকডাউন না মানার ছবিই দেখা যাচ্ছিল। সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে পাড়ার আড্ডায়, সব্জি বাজারে ভিড়, ক্লাবে তাসের আড্ডা চলছিল। অনেক জায়গায় কার্যত চোর-পুলিস খেলাও দেখা গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সব্জি বাজার সরিয়ে ফাঁকা ও বড় জায়গায় করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও অনেকের মধ্যে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। সব্জি বাজারে বিনা প্রয়োজনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে দেখা গিয়েছে অনেককে।
কিন্তু রবিবার সকালে হঠাৎ করে এই চেহারা বদলে গেল। বেলা বাড়ার সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। কারণ এদিন সকালে বড়ঞার এক বাসিন্দার সঙ্গে দিল্লির নিজামুদ্দিন যোগ মেলে। আর ওই দিল্লি যোগই মানুষের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি করল। হঠাৎ খড়গ্রাম, বড়ঞা, ভরতপুর, সালার ও কান্দি থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় মানুষের চলাফেরা বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেল।
এদিন সকালেও কান্দির তিনটি সব্জি বাজারে ভিড় ছিল। নিরাপদ দূরত্ব না মেনে ক্রেতাদের কেনাকাটা করতে দেখা যায়। কিন্তু বেলা কিছুটা বাড়তেই সেই ছবি অনেকটাই বদলে গেল। মহকুমার বিভিন্ন বাজার শুনশান হয়ে যায়। প্রত্যেকের মুখে এলাকায় নিজামুদ্দিন ফেরত এক ব্যক্তির কথা উঠে এসেছে।
এই অবস্থায় কান্দির সব্জি বাজার অন্যত্র ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার দাবি তুললেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দা সাহিনুর রহমান বলেন, সব্জি বাজারে প্রতিদিন ভিড় উপচে পড়ছে। কিছুটা দূরে থানা ও পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়ি। তবুও এখানে পারস্পরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। এই বাজার আরএমসি মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। এব্যাপারে কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে বাজার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি পেলে বাজার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে এদিন ভরতপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এলাকার প্রায় তিনহাজার বাসিন্দাকে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়। কান্দি পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়েছে।