পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বিহারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কেউ এসেছেন অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে। কেউ তাঁদের কোলের সন্তানদের বাবার কাছে রেখে এরাজ্যে এসেছেন রুজির টানে। তাঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। অনেকে পূর্বস্থলী-২ ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রামে জমি থেকে পেঁয়াজ তোলার কাজে এসেছেন। কিন্তু আচমকা লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় বিহারের ভাগলপুর, মুঙ্গের ও বাঁকা জেলার ১৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিক কাটোয়া শহরে আটকে পড়েন। প্রথমে তাঁদের কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন দুটি বাসে বিহারে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু বিহার প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রুখতে তাঁদের গ্রামে ফেরার অনুমতি দেয়নি। এরপর তাঁদের ঠাঁই মেলে কাটোয়া শহরের আরএমসি মার্কেটের একটি গোডাউনে। তাঁদের দুবেলা খাওয়ানো থেকে শুরু করে সমস্ত পরিচর্যা করছেন কাটোয়া পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু অনেকেরই বাড়িতে ছোট শিশু থাকায় চিন্তায় রয়েছেন মায়েরা। তাদের কাছে না পেয়ে মোবাইলে সন্তানদের কন্ঠস্বরটুকুই ভরসা মায়েদের। তাঁদের যাতে দ্রুত বাড়ি ফেরানো হয়, সেই আর্জি জানাচ্ছেন সকলেই।
মুঙ্গেরের বাসিন্দা সুনীতা দেবী, উকিল কুমার, ভাগলপুরের বাসিন্দা বুধনী দেবী, গীতা দেবী, বাঁকা জেলার বাসিন্দা টিকুল দেবী, পার্বতীয়া দেবী বলেন, প্রত্যেকবার আমরা এইসময় দল বেঁধে কাজে আসি। জমিতে পেঁয়াজ তুলে সংসারে কিছু বাড়তি উপার্জন হয়। এবছর আমাদের ছেলে-মেয়েদের রেখে এসেছিলাম। কাজও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এভাবে আটকে পড়ব বুঝতে পারিনি। এখন পরিবারের লোকজন কীভাবে দিন কাটাচ্ছে, বাচ্চারা কীভাবে আছে, তা ভেবে চিন্তা হচ্ছে। আর কোনওদিন এভাবে কাজে আসব না। শ্রমিকরা এখন চোখের জল মুছতে মুছতে হাতজোড় করে বলছেন, সরকার আমাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক। তা না হলে বাড়ির লোকের চিন্তায় আমরা মরে যাব।
কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শ্রমিকদের ফের নিজের রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।