পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লকডাউনে আনাজের বাজার ও মুদির দোকান খোলা থাকায় নিত্যদিনের অভ্যাসে দাঁড়ি টানতে পারছেন না অনেকেই। সকাল হলেই থলে হাতে রোজ বাজারে ‘হানা’ দিচ্ছেন। কেনাকাটা করে এক দফা আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। ফলে বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। জমায়েত বন্ধ করতে প্রশাসনের উদ্যোগ সফল হচ্ছে না। এত সতর্কতার পরও অনেকে আবার শিশুদেরও সঙ্গে করে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। তাতে বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। বীরভূম জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
ভিড় এড়াতে রামপুরহাট শহরের তিনটি বড় বাজারের স্থান পরিবর্তন করে পুরসভার মাঠ, হাইস্কুল মাঠ ও দিঘির পাড়ে আনা হয়েছে। কিন্তু রবিবার সকালেও ওই তিনটি বাজারেই ভিড় উপচে পড়ে। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে একে অপরের গা ঘেঁষে কেনাকাটা চলে। বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, কেউ কেউ রোজই বাজারে আসছেন। প্রতিদিনই আনাজ বা মাছ কিনছেন। এই সংকটকালেও প্রতিদিনের রুটিনে তাঁরা কোনও বদল আনেননি। রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, এত প্রচার করা সত্ত্বেও বাসিন্দাদের একাংশ কিছুতেই সচেতন হচ্ছেন না। একদিনে বেশি বাজার করেও বেশ কয়েকদিন চালানো যায়। কিন্তু অনেকে দরকার ছাড়াই রোজ বাজারে আসছেন।
অন্যদিকে, নলহাটির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সব্জি বাজার স্থানান্তর করে কৃষক বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এদিন পুরনো জায়গায় চলে আসেন। ফলে ক্রেতারা সেখানে ভিড় জমান। খবর পেয়ে পুলিস-প্রশাসন ব্যবসায়ীদের মান্ডিতে ফিরে যাওয়ার কথা বললে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মান্ডিতে বাজার বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি পুরসভার চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং বলেন, কিছু দালাল রাজনীতি করছে। আমরা পুলিসকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
এদিন ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু, গর্ভবতী ও দুঃস্থ পরিবারে শুকনো খাবার ও দুধ বিলি করা হয়। রামপুরহাটে একটি সংস্থার পক্ষ থেকেও শহরের ক্যানেল পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিলি করা হয়। হাসন কেন্দ্রের বিধায়ক মিল্টন রশিদ ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নিজের বিধানসভা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন। প্রয়োজনে তাঁদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অন্যদিকে, বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে যাঁরা আসছেন তাঁদেরও তাপমাত্রা দেখা হচ্ছে। লকডাউন উপেক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে এদিনও পুলিস অভিযান চালিয়েছে। তার জেরে সিউড়ি সহ একাধিক জায়গায় রাস্তায় বেরনো লোকজনদের বাড়ি পাঠানো হয়।