বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় মোবাইলের টাওয়ার ডাম্প করে পুলিস এই জেলার আরও একজনের নাম পেয়েছিল। তবে তিনি ওই সমাবেশে যাননি। ব্যবসার কাজে দিল্লিতে গিয়ে ওই এলাকার একটি হোটেলে ছিলেন বলে তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন। তাঁকে সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই জেলায় সেসময় যারা নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই ২০-২১ দিন আগেই ফিরে এসেছেন। এরমধ্যে তাঁদের কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। সেকারণেই তাঁদের মধ্যে একজন ছাড়া সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। রঘুনাথগঞ্জ এলাকার নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা এক ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতেই পুলিস কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা প্রায় ৩৮ হাজার জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই কেরল, ওড়িশা সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরেছেন। অনেকে কলকাতাতেও কাজ করতেন। তাঁদেরও বিশেষ বাসে সেসময় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বাড়িতে পাঠানো হয়। বিদেশ থেকে ফেরা ৭৫৮জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এই সংখ্যাটা আরও বেশি ছিল। কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁদের প্রত্যেককে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। বর্ডার এলাকাতে এখনও চেকিং চলছে। ইতিমধ্যে জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ২১হাজার ১৬২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ৭০টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজন হলে জেলার চারটি হাসপাতালকেও করোনা মোকাবিলায় ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত না হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে। প্রশাসনের দাবি, বাইরের রাজ্য থেকে ফিরে আসা কিছু শ্রমিক প্রশাসনকে না জানিয়েই জেলায় ঢুকেছেন। তাঁরা কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে বিপদ বাড়তে পারে। লকডাউন হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই হেঁটে গ্রামে ফিরেছেন। কেউ আবার পণ্যবাহী গাড়িতে চড়ে গ্রামে ফিরেছেন।
জেলার পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, বাইরে থেকে ফেরা বাসিন্দারা কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলবেন বলে আশা করা যায়। না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরও বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দাদের সচেতন করার জন্য লাগাতার প্রচার করছে। কেউ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, এই জেলায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা লোকজনদের মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। নিজামুদ্দিনের জেলার বেশি সংখ্যক লোক যাননি। যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও আর কেউ গেলেও স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।