বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) সীমা হালদার বলেন, লকডাউনের জেরে বহু মানুষের কাজ নেই। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার বিভিন্ন ভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও এবারের বাজেটে ঘোষিত জয়বাংলা স্কিমের মাধ্যমে তফসিলি জাতি ও উপজাতির ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের প্রতি মাসে এক হাজার টাকা দেওয়া হবে। তার মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসের টাকা একসঙ্গে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যাঁদের জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে তাঁদের জন্য বরাদ্দ টাকা জেলার প্রতিটি ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে লকডাউনের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা। তাই রাজ্য সরকার অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও ওই সমস্ত মানুষের কথা মাথায় রেখে জয়বাংলা স্কিমে উপভোক্তাদের কাছে একসঙ্গে দু’মাসের টাকা তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই অনুযায়ী বাঁকুড়াতেও তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এবারের বাজেটে তফসিলি জাতি ও উপজাতির ষাটোর্ধ্ব সমস্ত মানুষকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে বার্ধক্যভাতা দেওয়ার জন্য জয়বাংলা নামে স্কিম চালু করা হয়। সমীক্ষার মাধ্যমে বাঁকুড়ায় মোট ৭হাজার ৬৭১জন উপভোক্তার তথ্য পাওয়া যায়। তার মধ্যে জাতিগত শংসাপত্র না থাকার কারণে প্রায় তিন হাজার জনের নাম ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়। এবং বাকি ৪হাজার ৬৭১জনকে এখনই বরাদ্দ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রত্যেককে একসঙ্গে দু’মাসের বরাদ্দ ২হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেই হিসেবে মোট ৯৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। বাকি উপভোক্তারা জাতিগত শংসাপত্র জোগাড় করতে পারলে পরবর্তীকালে তাঁদেরও ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হবে।