কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন জানা গিয়েছে, তমলুকের বল্লুক গ্রামের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের এক ছেলে, দুই ভাইপো এবং এক ভাইয়ের স্ত্রীর করোনা পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। প্রত্যেকেই পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ছিলেন। শনিবার রাতে তাঁদের পজিটিভ রেজাল্ট আসার পর মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দিল্লির নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় সভা থেকে ফিরে আসা সুতাহাটার জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরবেড়িয়া গ্রামের ২২বছর বয়সি এক যুবককে তিনদিন আগে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁরও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ওই হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ছিলেন হলদিয়ার দুর্গাচকের করোনা আক্রান্ত এক কোয়াক ডাক্তারের পরিবারের সদস্যরা। ওই কোয়াকের স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত বলে রাতেই রিপোর্ট আসে। তারপর রাত ২টো নাগাদ দু’জনকে আইসোলেশন থেকে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ৩০বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছিল। শনিবার আইসোলেশনে মোট ৩৩জন ছিলেন। রবিবার তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিন দুপুরে করোনা উপসর্গ থাকা হলদিয়া বন্দরের এক কর্মীকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। ভবানীপুর থানার ডিঘাসিপুর এলাকা থেকে আর এক যুবকের করোনা উপসর্গ থাকায় এদিন দুপুরে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। নিজামুদ্দিন ফেরত আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন ডিঘাসিপুরের যুবক। তাছাড়া পাথরবেড়িয়ার আক্রান্ত যুবকের পরিবারের চার সদস্যকেও আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এবং তমলুকের বল্লুক এলাকায় রোজ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নিজামুদ্দিন থেকে ফিরে আসা ১১জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের করোনা পজিটিভ। বাকিদের আইসোলেশনে রেখে ধাপে ধাপে নমুনা পাঠানো হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হলদিয়ার দেভোগ এলাকার নিজামুদ্দিন ফেরত বন্দরকর্মীর মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। জ্বর, কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট ছাড়াই তাঁর পজিটিভ রেজাল্ট আসে। তা দেখে আশ্চর্য হয়েছেন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বল্লুক গ্রামে এক পান ব্যবসায়ী প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর চিকিৎসা করা স্থানীয় এক হাতুড়েও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর পান ব্যবসায়ীর পরিবারের একসঙ্গে চারজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এল। এদিকে শনিবার তমলুক ব্লকের কলাতলা সংলগ্ন বারখোদা গ্রামে জ্বর হওয়া দু’জনকে থার্মাল স্ক্রিনিং করতে গিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষের হামলার মুখে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স ও গাড়ির চালক। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্বাস্থ্যদপ্তরের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ব্লক মেডিক্যাল অফিসার গোটা বিষয়টি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নজরে আনেন।
অন্যদিকে, দাসপুরের করোনা আক্রান্ত যুবকের স্ত্রীকে মেদিনীপুর করোনা হাসপাতাল থেকে বেলেঘাটা আইডিতে পাঠানো হচ্ছে। তবে, ওই যুবকের মা সহ পাঁচজনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, ওই যুবকের মাকে করোনা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হবে। কারণ দিন কয়েক পর ফের তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তারপর তাঁকে ছাড়া হবে। বাকিদের করোনা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও ব্লকের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভর্তি রাখা হবে।