বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মেদিনীপুর পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। আটজন মিলে শহরের কয়েকটি এলাকা ভাগ করে নিয়েছেন। শহরের হবিবপুর, হাতারমাঠ, রাজাবাজার, ধর্মা, সূর্যনগর, তোলাপাড়া এবং যমুনাবলি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য মণিকাঞ্চন রায় নামে একজনকে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। তাঁর যোগাযোগের নম্বর ৯০০২১৯৩৪৫৩। শহরের সিপাইবাজার, মধুসূদননগর, দেশবন্ধুনগর, কুইকোটা, গোলাপীচক এবং কেরানিচটি এলাকার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে ফকিরুদ্দিন মল্লিককে। তাঁর যোগাযোগের নম্বর ৯০৬৪৪৮২৬৫০। কৌশিক কচ নামে এক যুবককে শহরের অশোকনগর, তাঁতিগেড়িয়া, শেখপুরা, বার্জটাউন এবং রবীন্দ্রনগর এলাকার দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। তাঁর যোগাযোগ নম্বর ৭৯০৮৫৪২৬৩৭। রাঙামাটি, বিধাননগর, অরবিন্দনগর, শরৎপল্লি, কেরানিতলা এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় বিশাল এলাকা হওয়ার জন্য শুভঙ্কর দাস, নিশীথ দাস এবং সুশান্ত ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুভঙ্করবাবুর যোগাযোগের নম্বর ৮৩৮৯৯৫৩০০৫। নিশীথবাবুর নম্বর ৯৮১৭১৯৬২৬ আর সুশান্তবাবুর নম্বর ৯৬৭৯৯৭২৩৭৮। শহরের জগন্নাথ মন্দির, পালবাড়ি, পাটনাবাজার, বল্লভপুর, মানিকপুর, বড়বাজার এবং ছোটবাজার এলাকায় শিবদেব মিত্র নামে একজন দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর যোগাযোগের নম্বর ৯০৬৪৮২৫৩২১। বটতলা, জুগনিতলা, মিঁয়াবাজার এবং মীরাবাজার এলাকার দায়িত্বে শেখ ইসমাইল রয়েছেন। তাঁর যোগাযোগের নম্বর ৯৭৪৯৬২৮১৮২।
কথা হচ্ছিল মণিকাঞ্চনবাবুর সঙ্গে। তিনি পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষক। তিনি বলেন, বয়স্ক লোকজন কিংবা বাড়িতে অসহায় কোনও মহিলা-পুরুষ থাকলে বাইরে বের হওয়ার পরিস্থিতি থাকে না। তাঁদের আমরা সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছি। পুরসভার ফেসবুক পেজেও আমাদের নম্বর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমরা নিজেদের ফেসবুক পেজে ফোন নম্বর দিয়ে রেখেছি।
বয়স্ক লোকজন ছাড়া আর কাউকে সাহায্য করছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, টাউন কলোনি এলাকায় একটি মেসে কয়েকজন ছাত্র বাড়ি যেতে পারেননি। তাদের কাছে কোনও খাবার ছিল না। ফোন পেয়ে প্রশাসনের সাহায্যে তাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। আবাস এলাকায় একজনের প্রতি সপ্তাহে ডায়ালিসিস প্রয়োজন। কিন্তু, তাঁকে নিয়ে নার্সিংহোমে যাওয়ার কেউ নেই। টোটো পরিষেবাও শহরে নেই। ফোন পেয়ে ওই রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ডায়ালিসিস করিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি।