বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পাখিদের মধ্যে সবার প্রথম আলোচ্য চড়ুই। বিগত ১০-১২ বছরে প্রায় ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এই পাখির সংখ্যা। যার কারণে ব্রিটেনের ‘রয়্যাল সোসাইটি অব প্রোটেকশন অব বার্ডস’ লাল তালিকাভুক্ত করেছে চড়ুইকে। এর প্রধান কারণ হল, বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা ও পাখিদের অকারণে বিরক্ত করা। এখন আবার ইলেক্ট্রিকের তারে, বারান্দায়, উঠোনে এসে বসতে দেখা যাচ্ছে দুটো-চারটে চড়ুইকে।
শুধু তাই নয়, ফিরে আসছে তিলি মুনিয়া (স্ক্যালি ব্রেস্টেড মুনিয়া), সাদা পেট মুনিয়া (হোয়াইট রাম্পেড মুনিয়া), তাইগা চুটকি (তাইগা ফ্লাইক্যাচার), এশীয় খয়েরি চুটকির (এশিয়ান ব্রাউন ফ্লাইক্যাচার) মতো প্রাণবন্ত কত ছোট ছোট পাখি। পক্ষী পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাগানের গাছে গাছে এদের নেচে নেচে উড়ে বেড়ানো চোখে পড়ছে। কখনও কখনও ফল বা ফুল গাছে মধু খেতে দেখা যাচ্ছে, ছোট মাকড়সা-ভুক বা লিটল স্পাইডার হান্টারকে। কাঁচা হলুদ রঙের লম্বা ঠোঁটের ছোট্ট এই পাখি এমন বন্দিদশায় মনে আনন্দ আনছে।
কৃষ্ণনগরের এক পক্ষী পর্যবেক্ষক সৌগন্ধা সরকার বলেন, অনেকসময় জলার ধারে দেখা মিলছে হলুদ খঞ্জনের (ইয়েলো ওয়াগটেইল)। লেজ নাচিয়ে মনের আনন্দে পোকা ধরতে ব্যস্ত সে। কোলাহল যেহেতু এখন প্রায় নেই বললেই চলে, তাই বসন্তের মনোরম দিনে কানে ভেসে আসছে বউ কথা কও, পাপিয়া, বসন্তবউরিদের ডাকাডাকি। দৈনন্দিন ব্যস্ততাকে সরিয়ে রেখে ওদের নিয়ে সময় কাটানো তো এখন একপ্রকার বিনোদনই।
আবার কমন ইয়োরা বা ফটিকজল পাখিরও দেখা মিলছে বলে অনেকের দাবি। যদিও বনদপ্তরের একটা অংশ বলছে, খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ না করে এখনই এটা বলা যাবে না। কারণ, এখন মানুষ দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে আছে, মানুষের পর্যবেক্ষণের সময় বেড়েছে। ফলে অনেক কিছুই অনেকের চোখে পড়ছে। তবে হ্যাঁ, লকডাউনের পরে পাখির আনাগোনা একটু হলেও বেড়েছে বলে আমরাও অনেকের মুখে শুনেছি। নদীয়ার ডিএফও রানা দত্ত বলেন, আরও কিছু দিন যাক, তারপরেই এনিয়ে হয়তো আমরা কিছু বলতে পারব।