বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হুগলির একটি হাই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন নিউটনবাবু। একমাত্র ছেলে দেবাদৃত মজুমদার এবার মে মাসে সাত বছরের পা দেবে। দেবাদৃত প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। এবার ছেলের জন্মদিন বেশ ধুমধামে পালন করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন নিউটনবাবু। নতুন বছরের শুরু থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করেন। তাঁর স্ত্রী শান্তুদেবীও ছেলের জন্মদিনের খরচের জন্য কিছু কিছু টাকা লক্ষ্মীর ভাঁড়ে জমা করতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁদের পরিকল্পনায় বাধ সেধেছে করোনা। তাই লকডাউনের বর্তমান পরিস্থিতিতে মে মাসে ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নেন মজুমদার দম্পতি। এরপরই স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ জমানো ৪০ হাজার টাকার চাল কিনে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিলি করার সিদ্ধান্ত নেন নিউটনবাবু। সেই মতো ১৬ কুইন্টাল চাল কেনেন। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে জিউধারায় নিজের বাড়ির সামনে দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে পাঁচ কেজি করে চাল বিলি শুরু করেন। এছাড়া প্রত্যেককে একটি করে মাস্ক বিলির পাশাপাশি তাঁদের করোনা নিয়ে সচেতন করেন। এলাকার বাসিন্দারা শিক্ষকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
নিউটনবাবু বলেন, ছেলের সাত বছরের জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ খুবই সমস্যায় পড়েছেন। তাই স্ত্রীর ইচ্ছাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মনে করি, এতে আমার সন্তানের আরও বেশি মঙ্গল হবে।
চাল নিতে আসা লটারি বিক্রেতা গণেশ দাস, শ্রীদাম সাহা বলেন, লটারি টিকিট বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চলে। লকডাউন হওয়ায় টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এভাবে সকলে যদি আমাদের মতো গরিব অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসেন, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলেই উপকৃত হবেন।