কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গোস্বামীগ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, বহিরাগত শ্রমিকরা যেমন কারখানার বাইরে বেরিয়ে ঘোরাফেরা করছেন, তেমনই স্থানীয় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে তাঁদের সংস্পর্শে আসছেন। কাজ শেষে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। বিক্ষোভকারী আশিস ভট্টাচার্য বলেন, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কারখানা ছাড়া কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার শ্রমিকদের সবেতন ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তারপরেও এই কারখানা কীভাবে চলছে? স্থানীয় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে চাননি। কিন্তু মালিকপক্ষ তাঁদের ভয় দেখিয়েছেন যে, কাজে না এলে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ছাঁটাই করে দেওয়া হবে। তাই স্থানীয় কিছু শ্রমিক কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত দু’বেলা বাড়ি থেকে কারখানায় যাতায়াত করছেন। আরএক বিক্ষোভকারী তাপস ঘোষ বলেন, আমরা এমনিতেই আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছি। এরপর স্থানীয় শ্রমিকরা কারখানায় কাজ সেরে গ্রামে ফিরছেন। বাড়ির লোকের সংস্পর্শে আসছেন। তারপর তাঁদের বাড়ির লোকজন ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে কলে জল নিচ্ছেন, দোকানে যাচ্ছেন। এর জেরে গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দারা যদি কাজ করেন, তাহলে তাঁদেরও কারখানার ভিতরে রেখে দেওয়া হোক। লকডাউন ওঠা না পর্যন্ত তাঁরা যেন বাইরে না আসেন।
কারখানার ম্যানেজার আর কে সিং বলেন, আমরা সমস্ত শ্রমিকের কারখানার ভিতরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। বাড়ি থেকে যাতায়াত করা শ্রমিকরা ভালো করে সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে স্যানিটাইজার লাগিয়ে যাচ্ছেন। নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা কোনও ফাঁক রাখিনি। জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কারখানা চালু রেখেছি। যদি জেলা প্রশাসন উৎপাদন বন্ধ রাখতে বলে, তাহলে কারখানা আপাতত বন্ধ করে দেব। মেজিয়ার বিডিও অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি ঘটনার কথা শুনেছি। মালিকপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।