পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অসুস্থ অথবা যাঁদের বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি, তাঁদের আর লাইন দিয়ে পেনশনের টাকা তুলতে হবে না। আজ শনিবারও পেনশনের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।
সিউড়ির বাসিন্দা দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি আগে ডাক বিভাগেই চাকরি করতেন। তাঁর পেনশনের টাকা বাড়ির অন্য সদস্যরা এনে দিতেন। কিন্তু এদিন সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে পেনশনের টাকা পৌঁছে দেন ডাক বিভাগের আধিকারিকরা। দেবদাসবাবু বলেন, বাড়িতে বসে পেনশনের টাকা পেয়ে উপকারই হল। আগামী দিনেও এরকম সুবিধা থাকলে ভালো হয়।
ডাকবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের ৩৩টি ডাকঘর থেকেই এই পরিষেবা দেওয়া হবে। জেলায় ৮৪৩ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে পেনশনের টাকা দেওয়া হয়। তারমধ্যে ৩৯ জন রয়েছেন যাঁদের বয়স ৮০-র বেশি। তাঁদের প্রত্যেককেই বাড়িতে গিয়ে টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার রামপুরহাটে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন বীরভূম ডিভিশনের ডাকবিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট নাজমুল হক চৌধুরী। অন্যদিকে, সিউড়িতে যান অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট উজ্জ্বল কুণ্ডু।
উজ্জ্বলবাবু বলেন, বাড়িতে টাকা পৌঁছনোর পাশাপাশি প্রতিটি ডাকঘরেও পৃথক কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেকে সেই টাকা পেতে পারেন। তাছাড়া প্রত্যেককে স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। ডাক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, যেসব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর পেনশনের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে হয়, তাঁরা পোস্ট অফিস থেকেও তা পেতে পারেন। সেজন্য পোস্ট অফিসে এসে তাঁকে আইপিপিবি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বয়স ৮০-র বেশি হলে পেনশনের টাকাও বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।