বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ৩০ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্স চলাকালীন জেলায় জেলায় করোনা হাসপাতাল করার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম অস্থায়ীভাবে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেইমতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঁশকুড়া এবং চণ্ডীপুরে দু’টি বেসরকারি হাসপাতালকে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তর বেসরকারি হাসপাতাল দু’টি পরিদর্শন করে। প্রতিটি হাসপাতালে ১০০টি করে বেড নিয়ে করোনা হাসপাতাল চালু হবে। করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের সেখানে ভর্তি করা হবে। সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাই সেখানে চিকিৎসা করবেন।
করোনা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৫টি ব্লকে ১২৯টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ার জন্য জায়গা বেছে রাখা হয়েছে। ওই সব সেন্টারে প্রায় ছ’হাজার মানুষ থাকতে পারবেন। এছাড়াও তমলুক জেলা হাসপাতাল, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল এবং পাঁশকুড়া, এগরা ও নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১২০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তার উপর দিল্লির নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় সভায় অংশ নেওয়া জেলার কয়েকজন নিজেদের আড়ালে রাখায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ১২ জন ওই সভায় যোগ দিয়েছিলেন বলে জেলা প্রশাসন খবর পেয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত হলদিয়ার একজন ছাড়া অন্যান্যরা কেউ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি।
এদিকে, লকডাউন উপেক্ষা করে বাড়ির বাইরে বেরনোর প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে। হাটেবাজারে লোকজনের উপস্থিতি ভালোই। তার উপর ১ এপ্রিল থেকে রেশন দোকানে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দেওয়া শুরু হতেই আরও বেশি সংখ্যক মানুষজন বাড়ির বাইরে বেরচ্ছেন। কোথাও কোথাও রেশনসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে ঝামেলাও চলছে জোরকদমে। বৃহস্পতিবার ময়না ব্লকের দক্ষিণ হরফুলি গ্রামের রেশন ডিলার ওজনে কম জিনিসপত্র দিচ্ছেন বলে উপভোক্তারা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন ও খাদ্যদপ্তর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে।
এদিকে তমলুক থানার বল্লুকে থাবা বসিয়েছে করোনা। বৃহস্পতিবার সেখানকার এক বৃদ্ধের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসার পর এলাকায় আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়েছে। এই অবস্থায় আগামী ১০-১৫ দিন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।