কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে জনবহুল এলাকায় বাড়ি হওয়ায় অধ্যাপককে উদ্দেশ্য করে টিপ্পনি কাটা ও অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগও উঠেছে। তাঁর বাড়ির পরিচারিকাকে আটকানোর চেষ্টা হয়। করোনা আতঙ্ক, অসুস্থ স্ত্রী, লকডাউন, অপপ্রচার থেকে মানসিক নির্যাতনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন অধ্যাপক। এই পরিস্থিতিতে তিনি পুলিস, স্বাস্থ্যদপ্তর ও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই মহিষাদলের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিষয়টি তদন্ত করেছেন।
জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন খবর পেয়ে গত ১৬ মার্চ ওই অধ্যাপকের পুত্র ব্রিটেনের নিউক্যাসেল থেকে মুম্বই হয়ে কলকাতায় ফেরেন। অধ্যাপকের চিকিৎসকপুত্র নিজে একজন কার্ডিওলজিস্ট। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি বিদেশে রয়েছেন। কলকাতায় ফিরতেই সরকারি নির্দেশ মতো তাঁকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এই অবস্থায় তিনি কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটে কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। এদিকে মহিষাদলে গুজব রটে যায়, অধ্যাপক-পুত্রের ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর করোনা ধরা পড়েছে এবং তাঁকে বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
অধ্যাপক বলেন, আমার ছেলের পাসপোর্টে মহিষাদলের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। সেজন্য ছেলে কলকাতায় ফিরতেই আমি থানার ওসিকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য জানিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর দিয়েছি। এমনকী, স্বাস্থ্যদপ্তরকেও বিষয়টি জানাই। ছেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকায় অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে পারেনি। তা সত্ত্বেও গুজবের জেরে অস্থির হতে হচ্ছে। ৩০ মার্চ ছেলের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। এই কয়েকদিন উদ্বেগে রাতে ঘুমোতে পারিনি। আর এদিকে আশপাশের চেনা মানুষগুলো রাতারাতি কেমন অচেনা হয়ে গেল!
মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস বলেন, কিছু লোকের কাজ নেই। তারা করোনা নিয়ে নানা গুজব রটাচ্ছে। এবিষয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। ওই অধ্যাপকের সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। মহিষাদলের বিএমওএইচ মোহনলাল ঘোড়ই বলেন, স্যারকে নিয়ে অপপ্রচার হয়েছে। এটা কাম্য নয়।