বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা বলেন, কৃষ্ণনগরের নাইট শেল্টারে ভবঘুরেদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও ৬০ জনের মতো থাকতে পারবে। জমায়েত ঠেকাতে শহরের বেশ কিছু বাজারকে মাঠে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেশন নেওয়ার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, করোনা সচেতনতার নজির গড়লেন ধানতলার তিন যুবক। করোনা সংক্রমণ রোধে পরিবার ও এলাকাবাসীর কথা ভেবে গ্রামের একটি জঙ্গলের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন ওড়িশা থেকে আসা তিন যুবক। রানাঘাট-২ ব্লকের ধানতলা থানার রঘুনাথপুর এলাকার তিন যুবক কাঠের ফার্নিচার বিক্রির জন্য ওড়িশা গিয়েছিলেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিন কয়েক আগে ওড়িশা থেকে সাইকেল কিনে তা চালিয়ে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু তাঁরা নিজে থেকে সুস্থ বোধ করলেও তাঁদের করোনা সংক্রমণ আছে কিনা তা না বুঝতে পেরে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে পাশে একটি জঙ্গলে তাঁবু টাঙিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে রয়েছেন। রাতেও হ্যারিকেন জ্বালিয়ে সেখানেই থাকছেন তাঁরা। খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই আশাকর্মীরা তাঁদের দেখে এসেছেন। ওই যুবকদের এই সচেতনতায় খুশি গ্রামবাসীরা। রানাঘাটের মহকুমা শাসক হরসিমরন সিং বলেন, সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, ভিনরাজ্য বা ভিন দেশ থেকে আসা বাসিন্দাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এইসময় পরিবারের থেকেও দূরে থাকা জরুরি। ওঁরা নিজে থেকে যে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়।
বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুর কাছে গৌরনগর এলাকায় তামিলনাড়ু থেকে আসা এক লরির চালক সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। লরির খালাসি স্থানীয় মানুষজনকে ঘটনাটি জানালে তাঁরা নবদ্বীপ থানায় খবর দেন। নবদ্বীপ থানার পুলিস চালককে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের সুপার বাপ্পা ঢালি জানান, করোনার কোনও লক্ষ্মণ পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি আছেন।
অন্যদিকে, রানাঘাট কলেজের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২২ লক্ষ টাকা দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার রানাঘাটের মহকুমা শাসকের হাতে চেক তুলে দেন রানাঘাট কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ। রানাঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের এক মাসের ভাতা সহ মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। তেহট্ট-২ বিডিও শুভ সিংহরায়ের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তেহট্ট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মনোতোষ দাস। ৩০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয় ছোট নলদহ অগ্রদূত সমিতি।