বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চৈত্র মাসে বিবাহ না হলেও নবদ্বীপের বুড়োশিব, যুগনাথ বা যোগনাথ শিব, বৌবাজারের মালোদের বাণেশ্বর শিব, চারিচারাপাড়া বাজারের বালকনাথ শিবের বিয়ে হয় ঘটা করে। বাবার অর্থাৎ শিবের বিয়ে দেখতে সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। ভুরিভোজ ও যৌতুকের ছড়াছড়ি থাকে। এবার অনেক শিবমন্দিরে বাসন্তী পুজো হয়নি। কিছু শিবমন্দিরে সরকারি নিয়ম মেনে কোনওরকমে পুজো হয়েছে। কিন্তু কোনও মন্দিরেই শিবের বিয়ে হবে না। ফলে নবদ্বীপ এবছর সন্ন্যাসী হীন। অন্যান্যবার প্যান্ডেল, আলোর গেট, সানাই বাদন সবকিছুর আয়োজন হয়। বাসন্তী পুজো শেষ হলে প্রতিমার সঙ্গে সেই মন্দিরে অধিষ্ঠিত শিবের বিয়ে সম্পন্ন হয়। শিবের মুখোশ তৈরি করে সেটিকে চতুর্দোলায় সাজিয়ে নিয়ে বর সাজানো হয়। হিন্দু রীতি মেনে শিব ও মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার বিয়ে দেওয়া হয়। আতসবাজির প্রদর্শনী হয়। বিয়ের দিন সন্ধ্যায় ও বিয়ের পর সকলকে খাওয়ানো হয়।
যোগনাথতলার যোগনাথ শিবের মূল সন্ন্যাসী বাবুলাল গোস্বামী জানান, প্রতিবছর চৈত্র মাসে কয়েকশো ভক্ত সন্ন্যাসী হন। এবছর সরকারি বিধিনিষেধের ফলে সন্ন্যাসী নেই, বাসন্তী পুজো হয়নি। ফলে শিবের বিয়ের প্রশ্নও নেই। বুড়োশিব মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অরূপ সাহা বলেন, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মন্দিরের সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বিয়েও বন্ধ।