কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শতাব্দী প্রাচীন বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর ধাম শিব মন্দিরে প্রতিবছরই চৈত্র মাসের ১৬ তারিখ থেকে গাজন উৎসব শুরু হয়। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভিন রাজ্যের মানুষও নিজেদের মানত পূরণের জন্য ভক্তা হন। ১৫ দিন ধরে চলে ভক্তদের বিশেষ পুজোপাঠ। মন্দির প্রাঙ্গণে বসে বিশাল মেলা। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ এই গাজন মেলায় ভিড় করেন। কিন্তু, করোনার জেরে এবার লোকসমাগম ঠেকাতেই মন্দির কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র একজন ভক্তাকে দিয়েই ধর্মীয় রীতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বহু প্রাচীন এই মন্দিরের ইতিহাসে এই প্রথম গাজন নিষিদ্ধ হল।
মন্দির কমিটির তরফে মাধব দেঘরিয়া বলেন, সাধারণ মানুষের ঢোকা ঠেকাতে মন্দিরের রাস্তায় প্রবেশ তোরণে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে নোটিস দিয়ে মন্দির বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাজনের দিন হাতেগোনা কয়েকজনকে মন্দিরে শিবের বিশেষ উপাচার ও পুজোর জন্য ঢুকতে দেওয়া হবে। অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে, মন্দিরের ধর্মীয় উপাচার পালনের দায়িত্বে থাকা ভক্তা দুঃখভঞ্জন সিংহ বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি এই মন্দিরে ভক্তা হচ্ছি। এক্তেশ্বর বাবার নির্দেশ মনে করে সবাই ঘরে থাকুন। বাবা নিশ্চয়ই সবার মঙ্গল করবেন। পাশাপাশি আমরাও মারণ ভাইরাস করোনার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব।