কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান সহ পাঁচ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোভিড-১৯ এর নোডাল অফিসার তথা সচিব রাজেশ সিনহা এদিন বর্ধমানে আসেন। তিনি ওই বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বর্ধমানের গোদার স্বাস্থ্যনগরীতে আরও একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। প্রয়োজনে গোদার ওই হাসপাতালকেও নেওয়া হবে। তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে করোনা নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায় সহ জেলা প্রশাসনের সকলেই উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, গাংপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে। ওখানে ১২৮টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিনই আমরা ওই হাসপাতালটি নিয়ে নিচ্ছি। তাঁদের সকল কর্মীকেও নেওয়া হচ্ছে। ভেন্টিলেশন সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই হাসপাতালে এখন ছ’জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, এদিন বর্ধমানের কালনা রোডের কৃষিভবনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ৫১ জন ভিন রাজ্যের বাসিন্দাকে পাঠানো হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, তাঁরা হেঁটে নিজেদের রাজ্যে ফিরছিলেন। তাঁদের ওই সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ১৪ দিন রাখা হবে। ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের জেলার ১১ হাজার শ্রমিক ভিন রাজ্যে রয়েছেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তাঁদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে, লকডাউন ভেঙে অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ও জমায়েত করার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা এলাকায় বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহার নেতৃত্বে বহু গরিব ও দুঃস্থ পরিবারের হাতে চাল, আলু, ডাল তুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার শক্তিগড় এলাকায় পুলিসের হাত দিয়ে গরিব শিশুদের জন্য দুধ বিতরণ করা হয়েছে।