বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লকডাউনের সময়ে জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে সোমবার বৈঠক করে হলদিয়ার বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষকে শ্রমিক কর্মচারীদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য ‘হু’ নির্দেশিত সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। হলদিয়ার ইন্ডিয়ান অয়েল পেট্রনাস প্রাইভেট লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ এখনও শ্রমিক কর্মচারী ও ট্রাক চালকদের মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ দেয়নি বলে অভিযোগ। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশ থেকে বন্দরের মাধ্যমে এলপিজি এনে সেই গ্যাস হলদিয়া থেকে বাল্ক ট্যাঙ্কার ও সিলিন্ডারে ভরে রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন এখান থেকে প্রায় আড়াইশোর মতো ট্রাক ও ট্যাঙ্কার লোডিং হয়।
এদিন সকালে শ্রমিকদের কর্মবিরতির জেরে সেই কাজ থমকে যায়। করোনার সুরক্ষা সরঞ্জামের পাশাপাশি ক্যান্টিন চালু করার দাবি জানান ট্রাক চালকরা। তাঁরা বলেন, আমাদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কারখানায় কোনও ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। এলাকায় ফিরলে বাড়ি ঢুকতে পারছি না। স্থানীয় মানুষজন ডাক্তারের সার্টিফিকেট দেখতে চায়। লকডাউনের সময়ে সমস্ত হোটেল বন্ধ থাকায় খেতে পাচ্ছি না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ভবানীপুর থানার ওসি রাজা মণ্ডল এবং হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলার তথা আইএনটিটিইউসি নেতা সঞ্জীব পট্টনায়ক। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সঞ্জীববাবু বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে সদর্থক আলোচনার পর সকালের সিফ্টের লোকজন দুপুর ১২টা নাগাদ কাজে যোগ দেন। তবে সেকেন্ড সিফ্টের লোকজন আবার লোডিংয়ের কাজে যোগ দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ সমস্যার কথা জানিয়েছেন। লকডাউনের সময়ে রান্নার গ্যাসের মতো জরুরি পরিষেবা যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য ২০জন শ্রমিক ও ড্রাইভারের ব্যবস্থা করছি। আইপিপিএলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, শ্রমিক ও ট্রাক চালকদের মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। এখন কোনও সমস্যা নেই। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় আজ নতুন করে ট্রাকে গ্যাস সিলিন্ডার লোডিং হচ্ছে না। তবে আগে থেকে যে সমস্ত ট্রাকে লোড করা ছিল, সেগুলি রওনা দিচ্ছে।