বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের জন্য সারা দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যে অবশ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণের জন্য কিছু যানবাহন চলছে। সেইসব যানবাহন অবশ্য ভিন জেলা বা রাজ্য থেকে আসছে। তাই গাড়ির চালক ও খালাসিদের রাস্তায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য ধাবা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বীরভূমের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ও গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কে ধাবাগুলি খোলা হয়েছে। ধাবার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি সারানোর জন্য প্রত্যেক সাত কিমি অন্তর ব্রেক ডাউন ভ্যানও থাকছে।
অন্যদিকে, বুধবার বীরভূম জেলাজুড়ে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বিলির কাজ শুরু হয়েছে। তবে এদিন রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, সিউড়ি সহ কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন দাবিতে গ্রাহকরা বিক্ষোভ দেখান। ফলে রেশন বণ্টনের কাজ ব্যাহত হয়। পরে পুলিসি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বহু রেশন দোকানেই পুলিসি পাহারায় রেশন দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রেশনের সামগ্রী নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জেরেই গোলমাল হয়। রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো এদিন থেকে জেলার প্রত্যেকটি রেশন দোকানে সামগ্রী নিতে লম্বা লাইন পড়ে যায়। তবে গ্রাহকদের দূরত্ব বজায় রাখার জন্য চক দিয়ে গণ্ডি কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রাহকদের অসন্তোষের জেরে সেই নিয়মও কার্যত মানা হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রাহকরা বিভিন্ন জায়গায় কম রেশন সামগ্রী পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে অবশ্য বীরভূমের খাদ্য নিয়ামক তরুণকুমার মণ্ডল বলেন, সরকারি নির্দেশমতো রেশন সামগ্রী কোন ক্যাটিগরির কার্ডে কী দেওয়া হবে তা রেশন দোকানের সামনে লিখে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কম রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়নি। দু’এক জায়গায় সমস্যা হয়েছিল, পরে তা মিটে গিয়েছে।
লকডাউন জারি থাকলেও বীরভূম জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই এখনও রাস্তায় লোকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এদিন রামপুরহাটের এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়া গান গেয়ে মানুষকে সচেতন করেছেন। এছাড়া লকডাউনের জেরে বিভিন্ন হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেজন্য এদিন রামপুরহাটে পুলিসের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। করোনা মোকাবিলায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সংগঠন, ব্যক্তি অসহায়দের সাহায্য করবেন। এদিন তারাপীঠ মন্দির কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঁচ লক্ষ ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তিন লক্ষ টাকা দান করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য এদিন মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এসডিও শ্বেতা আগরওয়ালের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।