কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মঙ্গলবার সকালেই আরামবাগ থেকে একদল শ্রমিক কিছুদূর গাড়িতে করে এসে পরে হেঁটে রেললাইন ধরে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। এদিন সকালে তাঁদের রামপুরহাটে পথ আটকায় পুলিস। পরে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। শ্রমিকদের দাবি, আরামবাগে একটি হিমঘরে তাঁরা কাজ করতেন। গত কয়েকদিন আগে তাঁরা সেখান থেকে একটি গাড়িতে করে বোলপুরে পৌঁছন। সেখান থেকে গাড়ি না পাওয়ায় হেঁটেই তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। জেলাশাসক বলেন, বাইরে থেকে বহু মানুষ এখনও আসছেন। এদিনও দুবরাজপুর, মুরারই-১ ব্লকে কিছু শ্রমিক ভিন জেলা থেকে এসেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। লকডাউন সফল করার জন্য সমস্ত স্তরের মানুষকেই সচেতন করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে পুলিস রাস্তায় থাকলেও নজরদারির কাজ কিছুটা শিথিল হয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। পুলিসের তরফে স্যোশাল মিডিয়াতেও একাধিক পদ্ধতিতে প্রচার করা হচ্ছে। বাউল গানের সঙ্গে সাঁওতালি ভাষাতেও সচেতন করছে পুলিস। যদিও লকডাউন উপেক্ষা করে সিউড়ি, বোলপুর রামপুরহাট প্রভৃতি শহরে রাস্তাঘাটে লোকজন বেরচ্ছেন। তার জেরে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় ময়ূরেশ্বর-২ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নিজেদের তহবিলে অর্থ সাহায্য চেয়ে প্রচার করছে। কুন্ডলা পঞ্চায়েতের প্রধান সুমন্ত পাল বলেন, ঝাড়খণ্ডের ৬৬ জন শ্রমিক লকডাউনের জন্য আটকে গিয়েছেন। তাঁদের স্কুলে রাখা হয়েছে। খাওয়ানো হচ্ছে। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় বহু অর্থের প্রয়োজন। বিভিন্ন মানুষ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছেন। অনেকে বিনামূল্যে সব্জি দিয়েছেন। অর্থ সাহায্য চেয়েও প্রচার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় অবশ্য বীরভূম জেলার একাধিক ক্লাব ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তহবিলে অনুদান দিয়েছে। তাছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যক্তির উদ্যোগেও দুঃস্থদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষকে ত্রাণ বিলি করা হয়েছে।