বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী গত সাতদিন আগেও অর্থাৎ ২৪ মার্চ পর্যন্ত ভিন রাজ্যের ২০ হাজার ৮৫৩ জনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। এই সাতদিনে অর্থাৎ ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৯৯০ জনকে পাঠানো হল। অর্থাৎ সাতদিনে ১২ হাজার ১৩৭ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবারও নতুন করে ৯৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, এই সময়কালের মধ্যে বিদেশ থেকে ফিরেছেন মোট ২৭৯ জন। তাঁদেরও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে, তার মধ্যে ২৮ জনের কোয়ারেন্টাইন সময়সীমা শেষ হয়েছে।
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, যাঁরা বিদেশ ও ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইন রাখা হচ্ছে। এতে সংক্রমণ অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব। এই সময় কারা কারা বাইরে থেকে এসেছেন, তার তথ্য জোগাড় করার জন্য প্রশাসনের আধিকারিক, কর্মী ছাড়াও জেলার ৪৫০টি ক্লাব, কুইক রেসপন্স টিম, সিভিক ভলান্টিয়ার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশাকর্মী সবাইকে নজর রাখতে বলা সয়েছে। এমনকী, কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় কারও জ্বর আসছে কি না, কারও সর্দি হয়েছে কি না, তারও খবর রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল অথবা কালনা মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে ফিরে যাঁরা পূর্ব বর্ধমান জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নোটিশও দিচ্ছে প্রশাসন। তাতে লিখে দেওয়া হচ্ছে, ওই পরিবারের সদস্যরা কতদিন বাড়ির ভিতরে থাকবেন। এবং ওই সময়ে যাতে তাঁদের বাড়িতে কেউ না যান। অর্থাৎ তাঁরা কারও সংস্পর্শে এসে থাকলেও যাতে অন্য কারও মধ্যে সেই সংক্রমণ না ছড়ায়।