পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা খাদ্য নিয়ামক বলেন, আমাদের জেলায় মোট ৮৩৩ জন এমআর ডিলার আছেন। ১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রেশন দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত সপ্তাহে সাতদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রেশন দোকান খোলা রাখতে বলা হয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন (এনএফএসওয়াই) এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ (আরকেএসওয়াই-১) কার্ড প্রাপকরা বিনামূল্যে রেশনসামগ্রী পাবেন। এক মাসের রেশন সামগ্রী এককালীন তুলতে পারবেন উপভোক্তারা। তবে, এফসিআই থেকে গমের জোগান ঠিকমতো না থাকায় একমাসের আটা ১৫ দিন অন্তর দু’বার দেওয়া হবে। আরকেএসওয়াই-১ কার্ড প্রাপকদের অবশ্য আগের মতোই টাকা দিয়ে সামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে।
তিনি বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৫৫ লক্ষ উপভোক্তা আছেন। তার মধ্যে এনএফএসআই এবং আরকেএসওয়াই-১ মিলিয়ে উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ৪৯ লক্ষ। এই ৪৯ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাবেন। এছাড়াও যেসব দুঃস্থ এবং গরিব মানুষজনের কার্ড নেই, তাঁরা আবেদন করলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপন দপ্তরের মাধ্যমে জেনারেল রিলিফ (জিআর) থেকে পাঁচ কেজি করে চাল পাবেন। জিআর সামগ্রী অবশ্য রেশন দোকান থেকে পাওয়া যাবে না।
এদিকে, তমলুক হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা সত্ত্বেও সেখানে করোনা সন্দেহে রোগী এলেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেফার করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসন হাসপাতাল সুপারকে সতর্ক করেছে। হাসপাতাল সুপার ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের উপর দায় চাপানোয় সেই চিকিৎসককে শোকজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোলাঘাটের এক কিশোর সহ দু’-তিনজনের ক্ষেত্রে এমনটা করেছে তমলুক জেলা হাসপাতাল।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তমলুকের ডিমারি হাইস্কুলের শিক্ষকরা ৫০ হাজার টাকা, নন্দকুমার থানার বাগডোবা জালপাই হাইস্কুলের শিক্ষকরা ৫০ হাজার টাকার চেক জেলাশাসকের হাতে তুলে দেন। পাঁশকুড়ার বৃহন্নলা সংগঠনের পক্ষ থেকে বড়মা শোভা হালদার এক লক্ষ টাকার চেক দেন জেলাশাসকের হাতে। কোলাঘাট ও চণ্ডীপুরে একটি ট্রাস্টের উদ্যোগে রান্না করা খাবার এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেও মুগবেড়িয়ায় নন্দ পরিবারে ১৭৫ বছরের পুরনো বাসন্তীপুজো হয়। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম-বিধি মেনে এবং ঢাকের আওয়াজ ছাড়াই এবার পুজো হয়। জেলায় অন্যান্য জায়গাতেও জৌলুসহীনভাবে বাসন্তীপুজো হয়।