পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একইভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মেদিনীপুর সদর এলাকায় দু’টি হাসপাতালকে শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করতে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আয়ুষ হাসপাতাল এবং সদর ব্লকের মোহনপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। বেসরকারি ওই হাসপাতালে ৫০টি বেড আছে। আর সরকারি আয়ুষ হাসপাতালে ১০০ বেড প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে সেখানে ৭০টি বেড রয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আরও ৩০টি বেড তৈরি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে মোট ন’জনের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছে বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন। এরমধ্যে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি থাকা সাতজন এবং এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি থাকা চারজন আছেন। এই মুহূর্তে জেলায় মোট ২৪ জন আইসোলেশনে আছেন। তারমধ্যে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে সাতজন, এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১৫ জন এবং পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দু’জন ভর্তি আছেন। জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা পজিটিভ দু’জন। এগরা থেকেই ওই পজিটিভ রেজাল্ট দিন কয়েক আগেই এসেছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা টেস্ট শুরু হয়েছে। সেখানে কারও পজিটিভ রেজাল্ট এলে তখন নিশ্চিত হতে নমুনা পাঠানো হচ্ছে নাইসেডে। এরকমই সোমবার রাতে নাইসেড থেকে ঘাটাল মহকুমার দাসপুরের এক যুবকের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাতজনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই মুহূর্তে ৯৪টি আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। ৪০৬টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় মোট ২৩ হাজার ৪৯৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে আশাকর্মী এবং এএনএম কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এছাড়াও ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। সেইসব ভলান্টিয়ার জেলা থেকে ফোন করে তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন। দু’-তিনটি হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। জেলায় এই মুহূর্তে ১২৯টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি রাখা হচ্ছে। প্রায় ৬০০০ লোক থাকতে পারবেন। আইসোলেশনে ১২০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় বেশিরভাগ প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ। এই অবস্থায় আইএমএ সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আশা করি, আমাদের আবেদনে ওরা সাড়া দেবেন।