পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত সুপার তথা অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ দত্ত। তিনি বলেন, কোনও ডাক্তার বা নার্সের যদি মাস্কের প্রয়োজন হয়, তাহলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
হাসপাতালে অধিকাংশ নার্সই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি একটি মাস্ক আমরা চার থেকে ছয় দিন ব্যবহার করছি। অথচ ওই মাস্ক আমাদের ছয় ঘণ্টা অন্তর বদলানোর কথা। কিন্তু হাসপাতালে মাস্ক না থাকায় বাধ্য হয়ে জেনে বুঝেও আমরা নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি। আমরা সমস্যার কথা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সরবরাহ না থাকায় একই মাস্ক আমাদের দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হবে। করোনার জন্য এন ৯৫ মাস্ক তো দূরের কথা, সাধারণ সার্জিকাল মাস্কও পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের তরফে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে বাহবা দেওয়া হলেও আমাদের নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম সামগ্রী মিলছে না।
মাস্কের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। ডাঃ মধুময় আড়ি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়ার জন্য ন্যূনতম এন ৯৫ মাস্ক প্রয়োজন। কিন্তু সেই মাস্ক দূরে থাক, সাধারণ মাস্কও আমরা পাচ্ছি না। সবকিছু জানা সত্ত্বেও আমরা নিরুপায়। প্রশাসন এবিষয়ে বাড়তি নজর দিলে হয়তো মাস্কের সমস্যা মেটানো সম্ভব।