কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিডিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ২০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। আমরা সবকিছু তৈরি করে রেখেছি। যখনই প্রয়োজন পড়বে, ব্যবহার করা যাবে। তিনি বলেন, এখানে আরও ৩০টি শয্যা পাতা যাবে। এছাড়াও ব্লকের আরও ৯টি জায়গা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার জন্য চিহ্নিত করে রাখা আছে। প্রয়োজন হলে সেই ৯টি সেন্টারও চালু করে দেওয়া যাবে। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আবুকালাম বক্স বলেন, দশগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বেড ও বিছানা পেতে দেওয়া হয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলি চালু হলে সেখানেও বেড, বিছানা পাতার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে মঙ্গলবার খড়্গপুর শহরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে একজন মহিলা সহ দু’জনকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। একজন সৌদিআরব থেকে ফেরা। এর আগেও তাঁকে খড়্গপুরে ভর্তি করা হয়েছিল। ছেড়ে দেওয়ার পর রেলের স্কাউট অ্যান্ড গাইডসে তৈরি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। এদিন আবার তাঁর জ্বর, সর্দির উপসর্গ দেখা দিলে মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই সেন্টার থেকেই পুরুলিয়ার এক মহিলাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, করোনা সন্দেহে পিংলা থেকে একজনকে এদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বেঙ্গালুরুতে পড়াশুনো করতেন। হোম কোয়ারেন্টাইনেই ছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পঠানো হয়। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার শ্যামল পট্টনায়েক বলেন, তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
অপরদিকে স্বাভাবিক মৃতদেহ সৎকারেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। করোনা আতঙ্কে প্রতিবেশী মারা গেলেও কেউ আর সৎকারে যেতে চাইছেন না। বালিচকে সোমবার এক যুবকের মৃত্যু হয়। তাঁর বিধবা মা ছাড়া আর কেউ নেই। অবশেষে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ কর কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে মৃতদেহ সৎকার করেন। মুখাগ্নি করেন মৃতের মামা।