কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে ১০০টি বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরজন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ছুটি দেওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু রোগীকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আমরা প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করছি।
অন্যদিকে, লকডাউনের পরিস্থিতিতে সঙ্কট মেটাতে এদিন বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী ও তাঁর মেয়ে সহ আটজন রক্ত দেন। একইভাবে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ডিওয়াইএফের সদস্যরা রক্ত দেন।
অন্যদিকে, আরামবাগের তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি হিমঘরে ভিন রাজ্য থেকে আসা এরাজ্যের বিভিন্ন জেলার শ্রমিকদের জন্য খোলা হয় ত্রাণ শিবির। ওই শিবিরে প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও শিবিরে আটকে থাকা শ্রমিকদের দাবি, সরকারি তরফে তাঁদের ন্যূনতম পেট ভরার খাবার দেওয়া হচ্ছে না। এদিন সকালে ওই শিবিরে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মহকুমা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল যায়। সেই সময় শ্রমিকরা সরকারি দপ্তরে কর্তাদের কাছে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। যদিও এব্যাপারে আরামবাগের মহকুমা শাসক নৃপেন্দ্র সিং বলেন, সোমবার রাতে তড়িঘড়ি ওই ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। সেই সময় প্রায় ৭৫ জন শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু এক রাতে সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যে কারণে প্রাথমিকভাবে আমাদের সবকিছু জোগাড় করতে সমস্যা হয়েছিল। তবে ত্রাণ শিবিরে থাকা শ্রমিকরা পর্যাপ্ত খাবার পাবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এছাড়া এদিন শহরের গৌরহাটি মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে শতাধিক দুঃস্থ মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মহাকুমাজুড়ে পুলিসের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়।
অপরদিকে, পুরুলিয়া দেবেন মাহাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নার্সিং হস্টেলের রান্নার দায়িত্ব নিলেন পুরুলিয়া-১ ব্লকের সোনাইজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমনপুর গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ওই স্বনির্ভর ক্লাস্টারের মেয়েরা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ক্যান্টিন চালান। লকডাউনের ফলে ক্যান্টিন বন্ধ রয়েছে। এদিকে নার্সিং হস্টেলের রাঁধুনিরা লকডাউনের জন্য বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। এই অবস্থায় হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের খাবার তৈরির জন্য প্রশাসনের তরফে সুরুচি ক্যাটারিং নামে গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে বান্দোয়ানের চিলা গ্রামে শবর পরিবার এবং প্রায় ২৫ জন যাযাবরের মধ্যে ত্রাণ বিলি করেন এলাকার বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেন। কাশীপুরে বিধায়ক কার্যালয় থেকে এলাকার গরিব, দুঃস্থ ও দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চাল বিলি করেন বিধায়ক স্বপন বেলথোরিয়া। এদিন পুরুলিয়া পুরসভার উদ্যোগে শহরে জীবাণুনাশক স্প্রে করেন দমকল কর্মীরা। পোস্ট অফিস মোড় থেকে নামোপাড়া পর্যন্ত স্প্রে করা হয়।