বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা পরিবারের আরও ছ’জন সদস্যকে ওই ব্লকের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। গোটা গ্রামকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, গত ২৮ মার্চ ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে আমরা পরীক্ষা করেছিলাম। তাতে সন্দেহ হওয়ায় আমরা নাইসেডে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। সেখানেই তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদিন দুপুরেই তাঁকে বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিস প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাড়িতে বাবা, মা ও স্ত্রী রয়েছেন। বছর তিনেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। মুম্বইয়ে তিনি সোনার কাজ করতেন। গত ২২ মার্চ তিন-চারজন বন্ধু মিলে মুম্বই থেকে বাড়ি ফেরেন। প্রাথমিকভাবে যা জানা যাচ্ছে, তাতে তাঁরা পাঁশকুড়া স্টেশনে নেমেছিলেন। সেখান থেকে একটি মারুতি করে বাড়ি ফিরেছিলেন। তবে, বাড়ি ফেরার আগে তাঁরা পাঁশকুড়া হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ২৭ তারিখ পর্যন্ত তিনি বাড়িতে ছিলেন। তারপরই সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়ায় তাঁকে পরিবারের লোকজন দাসপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসা করার পর তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবারই তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
জেলার পুলিস সুপার দীনেশ কুমার এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ওই যুবক ২২ তারিখ মুম্বই থেকে বাড়ি ফেরেন। পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে মারুতি গাড়ি করে ফিরেছিলেন। ২৭ তারিখ পর্যন্ত তিনি বাড়িতেই ছিলেন। এদিন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানার পরই ওই এলাকায় সকলেই নজরদারিতে রয়েছেন।
এদিন দাসপুর-১ ব্লকের করোলায় হাট বসেছিল। নিজামপুরে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানাজানি হতেই ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই হাট বন্ধ হয়ে যায়। গৌরা নামে ওই এলাকায় একটি গঞ্জ রয়েছে। এদিন সকাল থেকে সেখানে জনসমাগম ছিল। বিষয়টি জানার পরই গোটা এলাকা শুনসান হয়ে যায়। দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিক বলেন, বিষয়টি জানার পরই আমরা ওই গ্রামে গিয়ে কাউকে বাড়ি থেকে না বের হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পঞ্চায়েতের টাস্ক ফোর্স গ্রামবাসীদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবে। গ্রামে ঢোকার মুখে পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাকাচেকিং শুরু করা হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে ট্রেনে ওই যুবক এসেছিলেন, তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে ওই ট্রেনে যুবকের কামরায় আর কোন কোন যাত্রী ছিলেন, তার তথ্য জোগাড় চলছে।