বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাইস মিলগুলি চালু করার জন্য গত ২৭ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যতগুলি সম্ভব মিল চালু করতে হবে। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনদিনে মোট ১৭২টি মিল চালু করা হয়েছে। বর্ধমান ডিস্ট্রিট রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল বলেন, ৫০০ এর বেশি রাইস মিলের মধ্যে প্রায় ১২৫-১৩৫টি রাইস মিলে আতপ চাল তৈরি হয়। এছাড়াও ২৫-৩০টি মিলে গোবিন্দভোগ চাল তৈরি হয়। যেখানে সিদ্ধ চাল তৈরি হয়, আমরা সেই ১৭০-১৭২টি রাইস মিল চালু করেছি। ধীরে ধীরে বাকিগুলিও খোলা হবে। চালের যাতে ঘাটতি না হয় তার জন্য আমরা প্রশাসনের পাশে রয়েছি। সবাইকে মিল খোলার জন্য বলা হয়েছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার চাল কলকাতা, উত্তরবঙ্গ সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। ভিন রাজ্যেও যায়। লকডাউনে যাতে কোনওভাবেই চালের ঘাটতি না হয় তার জন্য প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত ১৭২টি মিল খোলার ব্যবস্থা করেছি। তবে, খুবই শ্রমিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ ভিন জেলার প্রচুর শ্রমিক আমাদের জেলার রাইস মিলে কাজ করেন। তাঁরা সবাই বাড়ি চলে গিয়েছেন। এখন তাঁদের ডাকা হলেও তাঁরা ফিরতে পারছেন না। স্থানীয় শ্রমিক নিয়ে আপাতত ওই ১৭২টি মিল চালানো হচ্ছে। ভিন জেলার শ্রমিকেরা যাতে ফিরতে পারেন, তার জন্য প্রশাসনের তরফে বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের জেলায় রাইস ব্র্যান অয়েল তৈরির ১৬টি সোলভেন্ট প্ল্যান্ট আছে। সেগুলি প্রত্যেকটি বন্ধ। ফলে, আমাদের রাইস মিল চালাতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ, রাইস মিলগুলি তাদের উৎপাদিত তুঁষ সোলভেন্ট প্ল্যান্টে দেয়। কিন্তু, ওই প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ওই প্ল্যান্টগুলি দ্রুত চালু না করলে বেশিদিন রাইস মিলগুলিও চালু রাখা যাবে না। তাছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে তুঁষ জমা থাকলে তার কার্যকারিতাও নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এই বিষয়টিও আমরা প্রশাসনের নজরে এনেছি।