কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অসিতবাবু বলেন, নতুন করে একজন সন্দেহভাজনকে ভর্তি করা হয়েছে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর ৮৩৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তেহট্টের পাঁচ করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় ৭১জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭০জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং একজনকে হাসপাতাল কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সকলেই প্রায় সুস্থ আছেন। এখনও কারও উপসর্গ দেখা যায়নি। জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঢ্যাং বলেন, বিভিন্ন সমাজসেবী, বিধায়ক, আমাদের জেলার বহু মানুষ জন মিলিয়ে প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। রাজ্যের তরফে যা যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমরা সবটাই করছি।
লক ডাউনের ফলে ওষুধের চাহিদা থাকলেও জোগান কম থাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে তেহট্ট মহকুমাজুড়ে। মঙ্গলবার তেহট্টের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে সুগারের ওষুধ পাচ্ছিলেন না বৃদ্ধ রঞ্জিত বিশ্বাস। অবশেষে নতুনপাড়ার একটি দোকানে মাত্র এক পাতা ওষুধ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে। তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন সুগারের ওষুধ খাই। এক মাসের ওষুধ একসঙ্গে কিনে বাড়ি নিয়ে যাই। এদিন তেহট্টের বিভিন্ন দোকান ঘুরে অবশেষে একটি দোকানে এক পাতা ওষুধ পেয়েছি। এতে দশ দিন চলবে। আবার বেরতে হবে। তখন পাব কিনা জানি না। রঞ্জিতবাবুর মতো একই অবস্থা অনেকের।
আর এক বাসিন্দা অঞ্জলি চক্রবর্তী বলেন, নিয়মিত প্রেসার ও থাইরয়েডের ওষুধ খাই। প্রেসারের ওষুধ পেলেও থাইরয়েডের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। তেহট্টের এক ওষুধ ব্যবসায়ী শুভব্রত রায় বলেন, আমাদের ডিস্ট্রিবিউটররা কৃষ্ণনগর থেকে আসে। লকডাউনের জেরে তাঁরা আসতে না পারায় ওষুধের ঘাটতি চলছে। একই কথা ব্যবসায়ী অলোক চট্টোপাধ্যায়ের। তেহট্টের ওষুধের এক ডিস্ট্রিবিউটর বলেন, আমাদের কাছে যা ওষুধ আছে তা শেষের মুখে। এরমধ্যে ওষুধ সাপ্লাই না হলে আমরা দোকানে দিতে পারব না। ফলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। সরকারের উচিত লকডাউনের মধ্যেও ওষুধের জোগান ঠিক রাখা।
মহকুমাশাসক অনীশ দাসগুপ্ত বলেন, ওষুধের সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। বাইরে থেকে ওষুধের জোগান যাতে ঠিকঠাক আসে সেজন্য সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে নবদ্বীপের পতিতাপল্লির ৭০জন মহিলাকে চাল, ডাল, আটা সহ একমাসের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিল নবদ্বীপের বড় আখড়ার বলদেব মন্দিরের আন্তর্জাতিক বলদেব সঙ্ঘ। পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, লকডাউন চলায় বহু মানুষের সমস্যা হচ্ছে। সবাই মিলে সাধ্যমতো সাহায্য করা হচ্ছে।