কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার সকাল থেকেই সাঁইথিয়ার সারদাপল্লিতে এভাবে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ওই পাড়ার তিনটি রাস্তার মুখে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্বজিৎ বাউরি, সুব্রত ও সঞ্জু মণ্ডলরা। তাঁদের ছুটি দিয়ে পাড়ার অন্য যুবকরাও সেই দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা বলছেন, এই তিনটি রাস্তা ব্যবহার করে বহিরাগতরা অনেক সময় অন্য জায়গায় যায়। তাই বহিরাগতরা এসে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সেই আশঙ্কায় রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গোপীনাথ চক্রবর্তী বলেন, পাড়ার কোনও ব্যক্তির জরুরি প্রয়োজনে বেরতে হলে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। লকডাউনে নিজের বাড়িতে থাকুন, এই বার্তা দিতেই রাস্তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন নলহাটি-২ ব্লকের রামেশ্বরপুর গ্রামেও বাঁশ বেঁধে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন বাসিন্দারা। পোস্টারও সাঁটিয়ে দেন। এই গ্রামে প্রায় ৪০জন বাসিন্দা ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে ১২জন গ্রামে ফিরেছেন। তাঁদের গ্রামবাসীরা স্কুল ঘরে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছেন। স্থানীয় শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একইভাবে ময়ূরেশ্বরের ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের আওদা গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বাসিন্দারা।
এদিকে, রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির তরফে লকডাউন চলাকালীন সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রামপুরহাটে বেশ কিছু মিষ্টির দোকান খোলা থাকায় সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। একইভাবে ক্ষুব্ধ কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সেইসমস্ত মিষ্টির দোকান বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করেন। কারণ মিষ্টির দোকানে ছানা সরবরাহকারীদের অধিকাংশই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তেহট্টে করোনা আক্রান্তের ঘটনায় যোগ মিলেছে মুর্শিদাবাদের। ফলে ছানা সরবরাহকারীরা রামপুরহাটে আসায় ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কৃষিমন্ত্রী এদিন ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে, তারাপীঠ মন্দির বন্ধের সময়সীমা ৩১মার্চ থেকে বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানান মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়।
লকডাউনে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বীরভূম জেলায় সমস্ত আন্তঃরাজ্য ও জেলাগুলির সীমানায় নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিস। পুলিসের এক কর্তা বলেন, ভিন জেলা বা রাজ্য থেকে বীরভূমে আসছেন তাঁদের প্রত্যেককেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। রাত হলেই সিউড়ি শহরে বাইক নিয়ে টহল দিচ্ছে পুলিস। রাস্তায় জমায়েতকারীদের দেখলেই পুলিস তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। এদিন প্রায় ৩০জন শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে এসে বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে সাহায্যের জন্য যান। সেখান থেকে পুলিস তাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায়। এদিন বীরভূম-মুর্শিদাবাদ সীমানা লাগোয়া নাকপুর এলাকায় চেকিংয়ের কাজ দেখতে পরিদর্শনে যান রামপুরহাটের এসডিও শ্বেতা আগরওয়াল, এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়া প্রমুখ।