রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন। তমলুক জেলা হাসপাতালে কনফারেন্স হলে অনেক চিকিৎসক এবং নার্স ওই কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু, ত্রুটিপূর্ণ সাউন্ড সিস্টেমের কারণে কয়েকজন মাঝপথে কনফারেন্স হল ছেড়ে বেরিয়ে যান। তমলুকের পাশাপাশি হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকেও চিকিৎসক এসেছিলেন। কিন্তু, সাউন্ড সিস্টেম বিগড়ে যাওয়ায় সবকিছু পণ্ড হয়ে যায়। জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসাররা অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে অবশ্য এরকম কোনও ত্রুটি ছিল না।
কোলাঘাটের পশ্চিম মানিকা গ্রামের চারজন ওড়িশার জলেশ্বর থেকে হেঁটে সওয়া ১০০কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রবিবার রাতে বাড়ি ফিরে এসেছেন। ওই চারজন জলেশ্বরে ফার্নিচারের কাজ করতেন। লকডাউন পর্বে তাঁদের মালিক চলে যাওয়ায় আর্থিক সঙ্কটে পড়ে যান তাঁরা। এরপর রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ তাঁরা হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সওয়া ১০০কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। আপাতত তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকে তমলুক শহরে দমকলের সাহায্যে জীবাণুনাশক স্প্রে শুরু হয়েছে। এদিন সকালে তমলুক পুরসভার, সিএমওএইচ অফিস প্রাঙ্গণ, জেলাশাসকের অফিস চত্বর স্প্রে করা হয়। ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার তপনকুমার বসু এদিন জেলাশাসকের অফিস প্রাঙ্গণে স্প্রে করার সময় উপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট সাতজনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ৯০টি জায়গাকে বেছে রাখা হয়েছে। ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে মোট ২৩ হাজার ৪৯৩জন আছেন। নতুনভাবে ৪৩৪১জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা শুরু হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা পজিটিভ কারও ধরা পড়েনি। এদিকে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শ্রমিকদের নামের তালিকা দিয়ে তাঁদের সাহায্য করার জন্য সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ।