গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হলদিয়া শিল্পশহরে পাঁশকুড়া, ঘাটাল, রাঁচি, দেগঙ্গা, ধুলাগড়ের হাট থেকে বিভিন্ন ধরনের সব্জি আনেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, লকডাউন শুরুর দু’একদিন পর থেকেই গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সব্জিতে টান পড়তে শুরু করে। তারপর সব্জি এনেও তা খুচরো বাজারে বিক্রি কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন বিক্রেতারা। ব্রজলালচক বাজারের সব্জি ব্যবসায়ী বলরাম দাস বলেন, সোমবার থেকে পাঁশকুড়া স্টেশন সব্জি হাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় হলদিয়ার বাজারগুলিতে সব্জির আকাল দেখা দেবে। গত একসপ্তাহ ধরে পাঁশকুড়া হাট অনিয়মিতভাবে চলছিল। ফলে সব্জির জোগান তেমন ছিল না। রবিবার রাতে হাট বসার পর বেশি জমায়েতের কারণে তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে হলদিয়া শহর ও আশপাশের বাজারগুলিকে স্থানীয় সব্জির উপর নির্ভর করতে হবে।
শহরের মাছ বাজারগুলির ভরসা এখন গ্রামাঞ্চলের পুকুরের জিওল ও টাটকা ছোট মাছ। শোল, কইয়ের মতো জিওল মাছের দাম কার্যত আকাশছোঁয়া। জিওল মাছের দাম সাড়ে ৪০০ থেকে ৬০০টাকা কেজি। তবে জিওল মাছ কয়েকদিন টাটকা থেকে যায় বলে চাহিদা বেশি। বাইরের মাছ বা ভেড়ির মাছ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বসানচকের মাছচাষি শরৎকুমার ভৌমিক বলেন, হলদিয়া ব্লকে শতাধিক ভেড়ি চাষি রয়েছেন। এখানে বেশির ভাগ মিষ্টি জলের রুই কাতলা থেকে নানা ধরনের মাছ চাষ হয়। তবে লকডাউনের বাজারে চাষিদের কার্যত মাথায় হাত পড়েছে। বাজারে বিক্রি না হওয়ার ভয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা অনেকেই মাছ তুলতে চাইছেন না। ফলে বাজারে মাছের জোগান নেই। এদিকে কর্মীর অভাবে মুড়ি মিলগুলি বন্ধ থাকায় বাজারে মুড়ির জোগান নেই। হলদিয়ার বাজারে ৬০টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে মুড়ি।